যে দেশে ট্রলি ব্যাগ নিয়ে গেলেই গুনতে হবে জরিমানা

কোথাও বেড়াতে গেলে সঙ্গে নিতে হয় প্রয়োজনীয় অনেক জিনিস। সেজন্য বহন করতে হয় ব্যাগ। অতীতে স্যুটকেস, বেডিং ব্যাগ, সাইড ব্যাগ কিংবা ট্যুরিস্ট ব্যাগে জিনিসপত্র নিয়ে বেড়ানোর চল থাকলেও এখন সবার পছন্দ ট্রলি ব্যাগ। তার প্রধান কারণ চাকা দেওয়া ট্রলি ব্যাগ বোঝা বহনের কষ্ট দূর করে।
ভ্রমণের সময় জিনিসপত্রের জন্য ট্রলি ব্যাগ আজকাল দারুণ জনপ্রিয়। জিনিসও নেওয়া যায় অনেক। বাজারে বিভিন্ন ধরনের লাগেজ ব্যাগ পাওয়া গেলেও ট্রলি ব্যাগের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। ফলে বিভিন্ন সংস্থা নানা স্টাইলিশ ও ট্রেন্ডি ডিজাইনের একাধিক সুবিধাযুক্ত ট্রলি ব্যাগ বাজারে আনছে নিত্যদিন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: বিশ্বের যে ৬ দেশে নাগরিকত্ব পাওয়া কঠিন
তবে জানেন কি এমন একটি দেশ আছে যেখানে ট্রলি ব্যাগ বা কোনো চাকাওয়ালা ব্যাগ বহন করা নিষিদ্ধ। নিয়ম ভাঙলে হতে পারে জরিমানা। অবাক লাগলেও তা সত্যি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
ইউরোপের ক্রোয়েশিয়ার দুব্রোভনিক শহরে নিষিদ্ধ এই ট্রলি ব্যাগ। ক্রোয়েশিয়া দেশটি এক কথায় ছবির মতো সুন্দর। আর সেই দেশের দুব্রোভনিক শহরটি সৌন্দর্য এক-দুই কথায় প্রকাশ করা যায় না। দুব্রোভনিক শহর তার প্রাচীন ভবন, রাস্তা এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলোর জন্য বিখ্যাত। এই কারণে প্রতি বছর এখানে লাখ লাখ মানুষ বেড়াতে আসেন। আর এই দুব্রোভনিকেই চাকাযুক্ত ব্যাগ বা স্যুটকেস বহন নিষিদ্ধ করেছে সেখানকার প্রশাসন।
মূলত শহরের রাস্তা-ঘাট সবই প্রাচীন পাথরে তৈরি। শহরের প্রাচীনত্বই এখানকার ইউএসপি। এমন অবস্থায় পর্যটকরা ট্রলি ব্যাগ নিয়ে রাস্তায় যাতায়াত করলে শোরগোল পড়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় লোকজনদের কথায়, এই শহরে সারারাত মানুষ যাতায়াত করে থাকে। আর সারারাত ট্রলি নিয়ে যাতায়াত করলে তার শব্দে এলাকার শান্তি ভঙ্গ হয়। রাতে ঘুমোনো যায় না।
আরও পড়ুন: যে দেশের পুরুষরা ঘরের দেওয়ালে স্ত্রীর ছবি টাঙিয়ে রাখতে বাধ্য
দুব্রোভনিক এখন প্রশাসন এখানে ট্রলি ব্যাগ নিষিদ্ধ করেছে। এরপরও যদি কোনো যাত্রী এই নিয়ম লঙ্ঘন করেন তাহলে তাকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। রেসপেক্ট দ্য সিটি ক্যাম্পেইনের আওতায় এই নিয়ম করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তবে আপনি যদি দুব্রোভনিক ভ্রমণের জন্য পরিকল্পনা করে থাকেন, এবং তিনি ট্রলি ব্যাগ নিয়েই সেখানে যেতে চান তাহলে, তাকে তার লাগেজ শহরের বাইরে জমা রাখতে হবে। শহরের বাইরে যাত্রীদের লাগেজ রাখার সুব্যবস্থা রয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
কেএসকে/জেআইএম
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন