এক রাস্তা ধরে হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন ১৪ দেশে
এক রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকলেই পৌঁছে যাবেন ১৪ দেশে। অবাক করা বিষয় হলেও, সত্যিই এমন সুযোগ পাবেন যদি আপনি বিশ্বের দীর্ঘতম হাইওয়ে ধরে চলতে শুরু করেন।
এ রাস্তা দিয়ে গেলে পেরিয়ে যেতে পারবেন মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, এল সালভাদর, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, কোস্টারিকা ও উত্তর আমেরিকার মতো দেশ-মহাদেশের সীমানা।
আরও পড়ুন: পার্ক নাকি হীরার খনি!
বলছি প্যান-আমেরিকান হাইওয়ের কথা। পথটি শুরু হয়েছে উত্তর আমেরিকা থেকে। এটি আলাস্কা থেকে শুরু হয়ে ১৪টি দেশ পেরিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনায় শেষ হয়ে যায় এই পথ।
দৈর্ঘ্যের কারণে এর নাম গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও তালিকাভুক্ত হয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের দীর্ঘতম ও বিখ্যাত এই হাইওয়ে সম্পর্কে-
প্যান আমেরিকান হাইওয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত ও দীর্ঘতম রাস্তা। রাস্তা তৈরির ধারণাটি প্রথম আসে ১৯২৩ সালে। মজার ব্যাপার হলো, এই মহাসড়ক তৈরি করতে শুধু একটি দেশ নয়, অবদান আছে ১৪টি দেশের।
আরও পড়ুন: দুবাই ভ্রমণে যে ভুলে হতে পারে জেল-জরিমানা
এই দেশগুলোর নাম হলো- কোস্টারিকা, পেরু, পানামা, নিকারাগুয়া, মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, হন্ডুরাস, গুয়াতেমালা, বলিভিয়া, এল সালভাদর, কলম্বিয়া, চিলি, কানাডা ও আর্জেন্টিনা।
কেউ যদি প্রতিদিন ৫০০ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করেন, তাহলে তিনি এই পথটি প্রায় ৬০ দিনে সম্পূর্ণ করতে পারবে। কার্লোস সান্তামারিয়া নামে একজন সাইক্লিস্ট পথটি ১১৭ দিনে সম্পূর্ণ করেছিলেন।
এর জন্য গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তার নাম লেখা হয়েছে। এই বিশাল মহাসড়কের সব রুট একত্রিত করলে তবে তার দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৪৮ হাজার কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: ইতালির যে ২ শহরে সংসার পাতলেই পাবেন ৩৫ লাখ টাকা
এই প্যান আমেরিকান হাইওয়েতে যেতে চাইলে আগে থেকে খুব ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। এ মহাসড়ক দিয়ে যেতে গিয়ে যদি কোনো গাড়ি বা বাইক নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কিন্তু অনেক বিপদে পড়তে হবে।
আসলে মহাসড়কটি এতটাই দীর্ঘ যে সাহায্যের জন্য বিপদগ্রস্ত ভ্রমণকারীর কাছে পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যায়।
তাই এই পথ দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে নিজের সঙ্গে গাড়ি বা বাইক মেরামতের সব ধরনের সরঞ্জাম থাকা জরুরি। এটি দিয়ে নিজের গাড়ি পাংচার বা ক্ষতিগ্রস্থ হলে মেরামত করে নেওয়া যাবে।
আবার এই হাইওয়েতে গাড়ি চালানোও সহজ নয়। কারণ হলো এটি বিভিন্ন অবস্থা ও এলাকার মধ্য দিয়ে যায়। কোথাও লম্বা মরুভূমি, আবার কোথাও দেখা মিলবে ঘন বন। তাই গাড়ি চালানোও অনেক জায়গায় বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
সূত্র: ব্রিলিয়ান্ট ম্যাপস
জেএমএস/এএসএম