দিনাজপুর ভ্রমণে ঘুরে আসুন ‘৬ সাগরে’
বিশ্বের বিখ্যাত মহাসাগর, সাগর, উপসাগর নাম আমরা শুনেছি। যেগুলো প্রাকৃতিকভাবে তৈরি। তবে মানবসৃষ্ট সাগরের নাম আমরা কয়জন শুনেছি। সেটাও আবার যদি হয় দিঘির নাম সাগর!
জানলে অবাক হবেন, দিনাজপুরের এক উপজেলাতেই আছে ৬টি সাগর। যার মধ্যে একটি সাগর সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা আছে, সেটি হলো রামসাগর সাগর।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ি ভ্রমণে ঘুরে আসুন ‘মানিকছড়ি ডিসি পার্কে’
তবে সুখসাগর, মাতাসাগর, আনন্দ সাগর জুলুম, সুখসাগর ও পদ্ম সাগরের নাম কি আপনারা শুনেছেন দেখেছেন বা জেনেছেন। না জানলে আজকের এর প্রতিবেদনে চলুন জেনে নেওয়া যাক-
উত্তর বঙ্গের অন্যতম জেলা দিনাজপুর। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শিক্ষায় অনেকটা এগিয়ে। বাংলাদেশের পর্যটনের বিশেষ কিছু আকর্ষণ আছে এই জেলায়। আছে রাজার আমল থেকে চলে আসা ৬টি ঐতিহ্যবাহী দিঘি।
যেগুলো মূলত ‘সাগর’ নামে পরিচিত। প্রায় শহর ঘিরে অবস্থিত এই সাগরগুলো দেখতে অনেকে আসেন। দিঘিগুলো যথাক্রমে রামসাগর, পদ্ম সাগর, সুখসাগর, মাতাসাগর, আনন্দ সাগর ও জুলুম সাগর।
এই সাগরগুলো রাজা মহারাজাদের আমলে খনন করা। এই বিশাল সাগর নামক দিঘিগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা জনশ্রুতি ও ইতিহাস।
আরও পড়ুন: ডোমখালী সমুদ্রসৈকত যেন চট্টগ্রামের সুন্দরবন
রামসাগর
বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম দিঘি রামসাগর। সাগর নয় তবুও গভীরতা আর বিশালতার কারণে ‘সাগর’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। রাজা রামনাথ এলাকার কৃষকদের চাষাবাদের উদ্দেশ্যে এই দিঘি খনন করেছিলেন। প্রচলিত আছে এই দিঘি খননের পরেও পানি উঠছিল না।
পরে রাজা স্বপ্নে দেখেন নিজ পুত্রকে রাম যদি তার এই দিঘিতে বির্সজন দেন, তাহলেই পানি উঠবে। তবে এই কথা রামকে বলবেন কেমন করে। এক পর্যায রাজাকে বিষণ্ন দেখে ছেলে রাম জানতে চাইলেন কারণ কী? তারপর সব ঘটনা শুনে কৃষকদের কথা ভেবে রাজপুত্র রাম রাজি হয়ে গেলেন।
একদিন সকালে সবার অগচরে রাজপুত্র রাম ওই দিঘিতে নেমে পড়লেন। তিনি পুকুরের যদ গভীরে যেতে লাগলেন পানি ততই গতিতে উঠতে থাকলো। দিঘির সেই পানিতে ডুবে রামের মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই তার নামানুসারে দিঘির নাম রাখা হয় রামসাগর।
সাগরের পাড়ে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল, ফল ও কাঠের গাছ আর রামসাগরের বিশাল নীল জলরাশিতে শাপলা পদ্ম ফুটে। এই মনোরম পরিবেশের জন্য বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন স্থানে পরিণত হয়েছে। এখানে একটি চিড়িয়াখানা আছে। সেখানে অজগর, হরিণ, বানর, পাখিসহ বেশ কিছু প্রাণির সংগ্রহ নিয়ে চিড়িয়াখানাটি বেশ সুন্দর।
আরও পড়ুন: অপরূপ সৌন্দর্যের আরেক নাম বাওয়াছড়া
দিনাজপুর জেলার সদর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে আউলিয়াপুর ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামে রামসাগরের অবস্থান। এর দৈর্ঘ্য ১০৩১ মিটার, প্রস্থ ৩৬৪ মিটার। গভীরতা ১৩.৫০ মিটার।
ইতিহাসবিদদের মতে, দিঘিটি খনন করতে তৎকালীন প্রায় ৩০ হাজার টাকা ও ১৫ লাখ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়েছিল। রাজা রামনাথের আমলে পলাশী যুদ্ধের আগে (১৭৫০-১৭৫৫) এই দিঘি খনন করা হয়।
শুকসাগর
রাজবাড়ির সর্ব-পশ্চিমের নিদর্শন শুকসাগর। উত্তর-দক্ষিণে দীর্ঘ দিঘীটি রাজবাড়ির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আনুমানিক ২৬ একর ভূমির উপর বিন্যাস্ত প্রাচীন দিঘিটির পাড় ভেঙে ভেঙে এখন ৩৩ একরে পরিণত হয়েছে। দিঘিটির জলকর ও পাড়সহ যথাক্রমে দৈর্ঘ্য ৪৭৬ ও ৬৩০ মিটার ও প্রস্থ ১৯৫ ও ৩৫০ মিটার।
গভীরতা তলদেশজুড়ে সমান না হলেও সর্বোচ্চ ৪ মিটারের মতো হবে। দিঘির কোথাও আগে কোনো ঘাট ছিল কি না তা জানা যায়নি। জানা যায়, দিঘির পাড় পাহাড় সমান উঁচু ছিল। পশ্চিম দিকে জনবসতি গড়ে উঠায় পাড় ভূমি সমান্তরাল হলেও বাকি তিন দিকের পাড় এখনো বেশ উঁচু। কোথাও কোথাও এ উচ্চতা ৩ মিটারের কাছাকাছি।
আরও পড়ুন: একদিনেই ঘুরে আসুন মিরসরাইয়ের বোয়ালিয়া ঝরনায়
দিনাজপুর রাজ বংশের প্রতিষ্ঠাতা শুকদেব রায় (১৬৪৪-১৬৮১ খ্রি.) তার শাসনামলের কোনো এক সময় রাজবাড়ির সম্মুখে অর্থাৎ পশ্চিমদিকে একটি বিশাল দিঘি খনন করে নিজ নামে নামকরণ করেন। সেই থেকে দিঘীর নাম শুকসাগর। অনেকেই অজ্ঞতাবশত বলেন, রাজা এখানে এসে সুখ পেতেন তাই তিনি এর এমন নাম রেখেছিলেন সুখ সাগর।
চারদিকে শাল ও আকাশমণি বাগান আর দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ, যেন শহরের ব্যস্তময় জীবনে একটু শান্তির সুবাতাস বইয়ে দেয়। স্বচ্ছ জলরাশি, দিঘিতে মাছের সাঁতার কাটা ও লাফালাফি এই সাগরের সৌন্দর্য বাড়ায়। নৌকা ও স্পিডবোটে চড়ে সাগরে ভ্রমণের কিছুটা স্বাদও নেয়ার সুযোগ আছে এখানে।
সাগরের পাড় যেন ছোট একটা পাহাড়ের মতো। শীতকালের মূল আকর্ষণ অতিথি পাখি। এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও অতিথি পাখির কিচিরমিচিরে মুখরিত ছিল পরিবেশ। সুখসাগর দিনাজপুরের মানুষসহ পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: ঘুরে আসুন সিলেটের সবুজ পাহাড়ের পাশে শাপলার রাজ্যে
মাতাসাগর
মহারাজ প্রাণনাথ রায় দিঘিটি খনন করে তার বিমাতা রামদেব রায় ও জয়দেব রায়ের মাতার উদ্দেশ্যে উতসর্গ করেন বিধায় এ দিঘির নাম ‘মাতা সাগর’। তবে অনেকে মনে করেন দিনাজপুর রাজবংশের প্রধান পুরুষ রাজা শুকদেব প্রজা সাধারনের পানীয় জলের কষ্ট নিবারণের জন্য এ দিঘি খনন করে তার মামের নামে উতসর্গ করেন বলে এর নাম মাতাসাগর যা ঐতিহাসিকভাবে সঠিক নয়।
এই সাগর পাড়ের উচ্চতা কম কিন্তু বিস্তৃতি অনেক বেশি। মাতাসাগরের নৈসর্গিক পরিবেশ দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। সূর্যদয় সূর্যাস্তের সময় মাতাসাগরের পানিতে সূর্যের লাল আভা দর্শকের মন কাড়ে।
ঠিক কবে এবংটি রাজা প্রাণনাথ খনন করেছিলেন তা নিদিষ্ট করে বলা কঠিন। তবে যহেতেু রাজা প্রাণনাথের রাজত্বকাল ১৬৮৭ খ্রি. থেকে ১৭১৮ খ্রি. পর্যন্ত। তাই এর মধ্যে কোনো এক সময় হয়তো এটি খনন করা হয়। তবে খননকালে কোন ঘাট ছিল কি না তা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: একদিনেই ঘুরে আসুন মিরসরাইয়ের বোয়ালিয়া ঝরনায়
উত্তর-দক্ষিণে দীর্ঘ দিঘির মোট ভূমির পরিমাণ এখন প্রায় ১০০ একর। পাড়সহ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে আনুমানিক ৬৩০ মিটার ও ৩০০ মিটার ও শুধু জলকরের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে আনুমানিক ৫১০ মিটার ও ১৬৪ মিটার।
মাতাসাগরের উত্তরে আনুমানিক এক কিলোমিটার দূরে রাজবাড়ি আর ৮৫০ মিটার দূরে শুকসাগর অবস্থিত। রাজবাড়ির চারদিকের খালের মতো পরিখাগুলো যা রামদাঁড়া নামে অধিক পরিচিত তার পূর্বাংশ শুকসাগর ও মাতাসাগরকে সংযুক্ত করেছে।
আনন্দ সাগর
দিনাজপুর ফুলবাড়ি মহাসড়কের ফুলবাড়ি বাসস্টান্ড থেকে ২ কিলোমিটারের সামান্য বেশি দূরত্বে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের পূর্বদিকে ৫০ গজ দূরে আনন্দ সাগর অবস্থিত।
মহারাজ বৈদ্যনাথ রায় তার কীর্তিমান পিতৃপুরুষদের মতো একটি বড় দিঘি খনন করার উদ্যোগ নিলে সে সময় রাজ্যে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে প্রথম দফায় খনন কাজে বিফল হন।
উপযুক্ত সময়ে তিনি পুনরায় দিঘিটি খনন করান ও তার স্ত্রী রানি স্বরসতী বা আনন্দময়ীকে তা উৎসর্গ করেন। আনন্দময়ীর নামে উৎসর্গকৃত দিঘির নাম তাই ‘আনন্দসাগর’। কথিত আছে, রাজারা রানিকে নিয়ে সোনার নৌকায় রাজবাড়ি থেকে পানিপথে নৌবিহারে এই দিঘিতে আসতেন।
আনন্দ করতেন তাই দিঘির নাম আনন্দসাগর। যা নিছক তাদের কল্পনাপ্রসূত কি না তা নিশ্চিত নয়। কারণ শুকসাগর মাতাসাগর ও আনন্দসাগরের সঙ্গে রাম ডাড়া সংযুক্ত ছিল। এই ডাড়া দিয়ে তিনটি সাগরেই নৌকায় যাতায়াত করা যেত। রাম ডাড়ার অস্থিত্ব বিরাজমান।
আরও পড়ুন: কাশফুল দেখতে ঘুরে আসুন বৃন্দাবনে
দিঘিটি উত্তর-দক্ষিণে দীর্ঘ। পাড়সহ দৈর্ঘ্য প্রায় ৩২০ মিটার ও প্রস্থ প্রায় ২১০ মিটার। জলকরের আয়তন আনুমানিক ২৫৫ ও ১১০ বর্গ মিটার। দিঘির গভীরতা পূর্বে অনেক বেশি ছিল বলেই অনুমিত হয় ও এখন তা সাকুল্যে ২ থেকে ২.৫ মিটার হবে।
দিঘির উত্তরে ১৫০ মিটার দূরে রাজার আমলে প্রতিষ্ঠিত গোষ্টধাম শিব মন্দির থাকায় দিঘীতে ঘাট থাকার সম্ভাবনাকে জোরালো করে তুলছে। এখানে প্রতি বছর হিন্দুধর্মাবলম্বীরা গোষ্ঠপূজা করেন ও এক দিনের মেলাও বসে।
সেখানে একটি পুরাতন ভঙ্গ প্রাচীন স্থাপনা আছে। স্থাপনাটি কবে কন সময় স্থাপন করা হয়েছিল তা কারও জানা নেই। কোনো ইতিহাসও পাওয়া যায়নি। তবে জনশ্রুতি আছে স্থাপনাটি রামের মামারবাড়ি ছিল।
ভাগ্নে বছরে একবার মামার বেড়াতে আসত। তার আগমন উপলক্ষে মামা মেলার আয়োজন করত। সেই থেকে সেখানে মেলাটি হয়ে আসছে। মেলাটি গোষ্টের মেলা নামে পরিচিত। কালিপুজার আটদিন পর এই মেলা বসবে।
আরও পড়ুন: অপরূপ যাদুকাটা নদী ভ্রমণে কীভাবে যাবেন, কত খরচ?
পদ্ম সাগর
দিনাজপুরের রাজবাড়ির ভেতরে অবস্থিত পদ্ম সাগর। জানা যায়, রাজবাড়ির নারী ও রাজ কুমারীরা পান করতেন। পাসান বাঁধাঘাট ও গভীরতার জন্য পদ্মপুকুরটিকেও অনেকে সাগর বলে থাকে। তবে এটি আয়তনে ছোট।
রাজবাড়ির ভেতরে রানি ভবনের সঙ্গে পদ্মসাগরটি এখন মানুষকে দারুণ আকৃষ্ট করে। তবে রাজবংশের কোন রাজা কোন সময় যে পদ্মপুকুর খনন করেছিলেন তা জানা যায়নি। পুকুরটি উত্তর-দক্ষিণে দীর্ঘ। এর দৈর্ঘ্য আনুমানিক ২১০ মিটার ও প্রস্থ ৭৭ মিটার।
গভীরতা আনুমানিক ১-১.৫ মিটার। রাজবাড়িতে কমপক্ষে ৫টি মন্দির ছিল। সেখানে নিয়মিত পূঁজা-অর্চনা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন করা হত, আর সে কারণে প্রয়োজন পড়ত প্রচুর ফুল।
শোনা যায়, নিত্য সে সব পূঁজার জন্য প্রচুর পরিমানে পদ্ম ফুলের চাহিদা ছিল। ফুলের যোগান নিয়মিত রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে এ পুকুরে তাই পদ্ম ফুলের চাষ করা হত। ফুলও ফুটতো অনেক। আর সে থেকে পুকুরের নামই হয়ে গেল পদ্ম পুকুর।
আরও পড়ুন: ঢাকার কাছেই ঘুরে আসুন শাপলার রাজ্যে
জুলুম সাগর
ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী রাজারা সাধারণ মানুষকে এই দিঘির পাড়ে নির্মিত ভবনে সাধারণ মানুষদের অত্যাচার করত বলে নাম হয়েছে জুলুম সাগর। যে ভবনগুলো পরে পুলিশ সুপারের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে অনেক দিন। সম্প্রতি সময় সেই ভবনগুলো ভেঙে পুলিশ সুপারের নতুন কার্যালয় করা হয়েছে।
দিনাজপুর সার্কিট হাউস, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের বিনোদন কেন্দ্র কৃষ্ণকলির নিচে এই সাগরের অবস্থান। প্রায় ৮৪৩ শতক আয়তনের সাগরটি দিনাজপুরের মানুষের প্রিয়।
একদা শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশগত উন্নতিকল্পে জেলখানার কয়েদিদের দ্বারা জুলুম করে এ দিঘি খনন করা হয়ে থাকতে পারে। তাই এর নাম জুলুম সাগর।
দিঘির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে ভূ-খণ্ডের ওপর ছিল রাজাদের নির্মিত জুলুম সাগর প্রাসাদ। এক সময় এ প্রাসাদ ছিল ইংরেজ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের বাসভবন। তবে দীর্ঘদিনের সংস্কারের অভাবে দিঘিটি বর্তমানে জঙ্গলাকীর্ণ।
আরও পড়ুন: একদিনেই কীভাবে ঘুরে আসবেন মহামায়া লেক থেকে?
কীভাবে যাবেন?
ঢাকা থেকে যে কোনো কোচ ও ট্রেনযোগে প্রথমে দিনাজপুরে যেতে হবে। এছাড়া বিমান যোগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নেমে মাইকো বা কার যোগে ও বাস যোগে দিনাজপুর শহরে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে।
সেখান থেকে দিনাজপুর ৪৫ মিনিট থেকে ঘণ্টাখানেকের পথ। এরপর সাগরগুলো দেখতে দিনাজপুর শহর থেকে ইজিবাইক, কার মাইকোবাস, ব্যাটারিচালিত ভ্যান ইত্যাদিতে যাওয়া যাবে।
থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা
রাতযাপনের জন্য রাম সাগরে বন বিভাগ নিয়ন্ত্রিত ডাকবাংলা আছে। এছাড়া দিনাজপুর শহরে ভালো মানের অনেক আবাসিক হোটেলও আছে। সেগুলোতে বাজেটের মধ্যে রাত্রিযাপন করা যাবে। দিনাজপুরে সব ধরনের খাবার হোটেল আছে। সব ভালো খাবার হোটেরগুলো শহরের প্রধান সড়কের পাশেই।
এএমএইচএম/জেএমএস/এএসএম