ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ভ্রমণ

যে দেশের পুরুষরা ‘বউ বাজার’ থেকে টাকা দিয়ে কেনেন বউ

ভ্রমণ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:২৫ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের আকর্ষণীয় সব পণ্যের বাজার বসে। তবে কখনো কি শুনেছেন শাকসবজি কিংবা নিত্য পণ্যের বাজারের তো বিশ্বের এক দেশে বসে ‘বউ বাজার’। এই বাজার থেকে বিয়ের জন্য পছন্দের নারীকে কেনেন পুরুষরা।

উদ্ভট এই বাজার বসে বুলগেরিয়ায়। অবাক করা বিষয় হলেও সত্যিই যে, সে দেশের পুরুষরা অর্থের বিনিময়ে বউ কেনেন। পাত্রের পরিবারের সদস্যরা এই বাজার থেকে পছন্দমতো একটি মেয়ে কিনে নেন ও তাকে পুত্রবধূ হিসেবে বাড়িতে নিয়ে যান।

আরও পড়ুন: ৬ বছরেই দেশের ৬৪ জেলা ঘুরেছেন সাফাত-শিখা দম্পতি

বউ বাজারটি বসে বুলগেরিয়ার স্তার জাগোর নামক এক স্থানে। পুরুষরা এই বাজারে তাদের পরিবার নিয়ে যান ও নিজের ও পরিবারের পছন্দমতো মেয়েকে পছন্দ করে টাকা দিয়ে কিনে নেন।

jagonews24

যে মেয়েটিতে পছন্দ করা হয় তার সঙ্গে দর কষাকষি করা হয়। তারপর যখন মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা প্রদত্ত মূল্যে খুশি হন, তখন সেই মূল্যে ছেলেটির পরিবারকে সেই মেয়ে দেওয়া হয়। তারপর ছেলের পরিবার মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন ও মেয়েটি স্ত্রীর মর্যাদা পায়।

এই বিয়ের বাজারটি মূলত গরিব পরিবারের মেয়েদের জন্য। যেসব মেয়ের পরিবার অর্থের অভাবে মেয়ের বিয়ে দিতে পারছে না, তারাই মূলত তাদের কন্যাকে এই বউ বাজারে নিয়ে যায় বিক্রির উদ্দেশ্যে। বিষয়টি অমানবিক হলেও ঘটে আসছে বহুদিন ধরেই।

আরও পড়ুন: ঢাকার কাছেই ঘুরে আসুন গোলাপের রাজ্যে

জানা যায়, বুলগেরিয়ায় বহু যুগ ধরেই এই প্রথা চলে আসছে। এই বাজার স্থাপনের অনুমতি মিলেছে সরকারের তরফেও। বাজারে মেয়েদের দাম ভিন্ন ভিন্নভাবে নির্ধারণ করা হয়।

jagonews24

তবে বউ বাজার থেকে কিনে আনা মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আগে বেশ কয়েকটি নিয়ম মানতে হয়। প্রথমত মেয়েটিকে কুমারি হতে হবে। তবেই তার দাম বেশি হবে।

আরও পড়ুন: ঘুরে আসুন দেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম ‘মুনলাই’ থেকে

শুধু কালাইদঝি সম্প্রদায়ের লোকেরাই তাদের মেয়েদের এই বাজারে নিয়ে যেতে পারবেন। পাশাপাশি পরিবারটির দরিদ্র হওয়া আবশ্যক। আর্থিকভাবে সাবলম্বী বা ধনী পরিবের মেয়েদের বিক্রি করা নিয়ম নেই সেখানে।

এছাড়া বাজার থেকে কিনে নেওয়া ওই মেয়েটিকে পুত্রবধূর মর্যাদা দেওয়া আবশ্যক। চাইলে আপনিও ঘুরে আসতে পারে অদ্ভূত এই বউ বাজার থেকে।

সূত্র: ডেইলি মেইল/নিউজ ১৮

জেএমএস/এমএস

আরও পড়ুন