ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ভ্রমণ

আইফেল টাওয়ারেরও বউ আছে!

ভ্রমণ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:০৭ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আইফেল টাওয়ারের সৌন্দর্যে মুগ্ধ বিশ্ববাসী। ফ্রান্সের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহর হলো প্যারিস। আর সেখানেই মাথা উঁচু করে ১৩৬ বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে আইফেল টাওয়ার।

ফ্রান্সে গেলে আইফেল টাওয়ারে ঢুঁ মেরে আসতে ভুলেন না কেউ! ১৮ হাজার ৩৮ খণ্ড লোহার তৈরি বিভিন্ন আকৃতির ছোট-বড় কাঠামো জোড়া দিয়ে এই টাওয়ার তৈরি করা হয়।

আরও পড়ুন: আইফেল টাওয়ারে মাঝরাতে হেঁটে বেড়ায় কার আত্মা?

৩০০ শ্রমিক এই টাওয়ারের নির্মাণকাজে অংশ নিয়েছিলেন। আইফেল টাওয়ারের সৌন্দর্য উপভোগে প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক ভিড় করেন প্যারিসে।

এই টাওয়ারের সৌন্দর্য দেখে এর প্রেমে পড়েন কমবেশি সবাই। তবে আইফেল টাওয়ারের কিন্ত বউ আছে। অবাক করা বিষয় হলেও সত্যিই যে, এরিকা ল্যাব্রি নামক এক নারী ১৬ বছর আগে আইফেল টাওয়ারকে বিয়ে করেন।

তার মতে, সে জড় বস্তুর প্রতি যৌন আকর্ষণ অনুভব করেন। যদিও তার এই যৌন অভিমুখতার কারণে জীবনের বেশিরভাগ সময়ই তিনি উপহাসের পাত্রী হয়েছেন।

আরও পড়ুন: দেখে আসুন বাংলার আইফেল টাওয়ার

তবে নিজের লক্ষ্যপূরণে ২০০৭ সালে এরিকা আইফেল টাওয়ারকে বিয়ে করেন ও এই টাওয়ারের নাম দেন শুধু আইফেল।

এরিক নামের ওই নারী অবজেক্টাম সেক্সুয়াল (ওএস) এ আক্রান্ত। এ ধরনের মানুষেরা জড় বস্তুর প্রতি যৌন আকর্ষণ অনুভব করেন। তার মতে, বস্তুর মধ্যে ভালবাসা খুঁজে পান তিনি। অন্যদের কাছে বিষয়টি হাস্যকর হলেও তার সত্যিকারের অনুভূতি সেটি।

এরিকা আরও জানান, বয়ঃসন্ধিকালের পর থেকেই তিনি এই বস্তুগত প্রেম উপলব্ধি করতে শুরু করেন। যখন তার অন্য বন্ধুরা ডেটিং শুরু করেছিল, তখন নাকি তিনি সেতুর কাছে বা বাসের প্রতি গভীর আকর্ষণ বোধ করতেন।

আরও পড়ুন: আইফেল টাওয়ার ২ বার বিক্রি করেন যে প্রতারক

এরিক আইফেল টাওয়ারকে বিয়ে করেন ঠিকই, তবে ৬ বছর পর এই টাওয়ার প্রতি প্রেম কমে যায়। গত ১০ বছর হলো তিনি অন্য বস্তুর প্রেমে ঘুরপাক খাচ্ছেন। তিনি এখন নতুন কিছুর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন, যা তিনি গোপন রেখেছেন। জানা গেছে, সেটি কোনো দেওয়াল!

বিশ্বের বিখ্যাত এই টাওয়ার নিয়ে এমন অনেক কাহিনি আছে। অবাক করা বিষয় হলো, এই বিখ্যাত স্থাপনা নাকি এক ব্যক্তি বিক্রিও করেছিলেন, তাও আবার দু’বার। ভিক্টর লুস্টিগ নামক এক ব্যক্তি সবার অজান্তেই বিশাল এই স্থাপনা বিক্রি করেছিলেন পর্যটকের কাছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/জেআইএম

আরও পড়ুন