ঢাকার বাসের ই-টিকিটিং কী?
ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে ঢাকার গণপরিবহনে। ২০২২ সালের শেষের দিকে হাতেগোনা কয়েকটি গণপরিবহনে এ ব্যবস্থা চালু হয় পরীক্ষামূলকভাবে। রাজধানীর ৭১১ বাসে ই-টিকিটিং চালু হচ্ছে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) থেকে।
ঢাকায় আরও ৭১১ বাসে ই-টিকিটিং চালু হচ্ছে মঙ্গলবার
প্রথমদিকে মিরপুরের ৩০টি কোম্পানির বাসে চালু করা হয় ই-টিকিটিং। তবে এবার মোহাম্মদপুর, আজিমপুর ও গাবতলীতে চলাচলরত ১৫টি কোম্পানির বাস ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসছে।
ভাড়া নিয়ে দর কষাকষি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধেই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। যাত্রীরাও ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু হওয়ায় বেশ খুশি।
ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে ট্রেনের টিকিট কাটবেন যেভাবে
বাসের ই-টিকিটিং কী?
ই-টিকিটিং বলতে যদিও ইন্টারনেটে পরিবহনের টিকিট কাটার ব্যবস্থাকে বোঝায়, তবে রাজধানীতে ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসা বাসগুলোতে চলাফেরার ক্ষেত্রে কিন্তু এমন সুযোগ নেই।
এক্ষেত্রে বাসে ওঠার আগে বা যাত্রাকালে বাসের কন্ডাক্টর বা হেল্পারের কাছ থেকে ই-টিকিটটি সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে তারা ই-টিকিটিং মেশিনের (পজ মেশিনের মতো) মাধ্যমে আপনার গন্তব্য স্থান জেনে নির্দিষ্ট বাটনে চাপলে ভাড়ার পরিমাণসহ একটি কাগজ বেরিয়ে আসবে। সে অনুযায়ী পরিশোধ করতে হবে ভাড়া।
এতে কোন স্থান থেকে বাসে উঠেছেন ও আপনার গন্তব্য কোথায় তার উল্লেখ থাকবে। পাশাপাশি টিকিট কাটার সময়, তারিখ, কে ইস্যু করলেন ইত্যাদি তথ্যের উল্লেখ থাকবে ই-টিকিটে। নির্দিষ্ট গন্তব্যে নামার সময় ই-টিকিটটি বাসের দরজায় দাড়ানো হেল্পারের হাতে দিয়ে নেমে যেতে হবে। টিকিট নিয়ে আপনার কোনো অভিযোগ থাকলে জানাতে পারবেন নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে, যা ওই টিকিটে থাকবে। শিক্ষার্থীদের জন্য আছে বিশেষ ব্যবস্থা। ছাত্র-ছাত্রী পরিচয় দিয়ে কার্ড দেখালে হাফ ভাড়াও দেওয়া যাবে।
বাণিজ্যমেলায় কীভাবে যাবেন, বিআরটিসি বাস ভাড়া কত?
এই ব্যবস্থার মাধ্যমে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হবে বলে দাবি করছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সদস্যরা। রাজধানীবাসীও ইতিবাচকভাবেই নিয়েছেন এই ব্যবস্থাকে।
এই সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘শতভাগ ই-টিকিটিং সিস্টেম চালু করতে পেরেছি বলবো না, এখনো কিছু অনিয়ম আছে। বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি কাজ করছে।’
ঢাকার গণপরিবহনে এটা নতুন হলেও ঘরে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করে টিকিট কাটার পদ্ধতি দেশে চালু আছে আগে থেকেই। দূরপাল্লার পরিবহন, লঞ্চ, ট্রেন কিংবা প্লেনের চলাচলের ক্ষেত্রে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ই-টিকিটিং ব্যবস্থার মাধ্যমে খুব সহজে এখন ঘরে বসেই গন্তব্যের টিকিট কাটা যায়।
কম খরচে ঘুরে আসুন বাংলার তাজমহলে
দেশের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট, ভিআইপি লঞ্চের টিকিট, বাস ও প্লেনের টিকিট বর্তমানে অনলাইন থেকে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড অথবা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপসের মাধ্যমে সহজেই কেনা যায়।
কম খরচে মেঘালয় ভ্রমণে কোথায় থাকবেন ও কী কী দেখবেন?
যেহেতু সশরীরে না গিয়েই যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারছেন, তাই ই-টিকিটিং ব্যবস্থা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উন্নত দেশগুলোতে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা বেশ পুরোনো ও জনপ্রিয়ও বটে।
জেএমএস/এএসএম