ঢাকার কাছেই ‘মহেরা জমিদার বাড়িতে’ ঘুরে আসুন একদিনেই

ছুটির দিনে যারা ঢাকার খুব কাছেই ঘুরতে চান, তাদের জন্য সেরা এক স্থান হতে পারে মহেরা জমিদার বাড়ি। বলা হয়, এটিই নাকি দেশের সবচেয়ে বড় ও সুন্দর জমিদার বাড়ি। এটি দেখলে মনেই হবে না যে, এটি ১৩২ বছরের আগে নির্মিত হয়েছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের নাটিয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই জমিদারবাড়ি। টাঙ্গাইলে অবস্থিত বিভিন্ন জমিদার বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হলো মহেরা জমিদার বাড়ি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
আজও চকচক করছে এ বাড়ির দেওয়াল। তখনকার কারিগরদের হাতের ছোঁয়া কি অপূর্ব ছিল তা এই জমিদার বাড়ির সৌন্দর্য ও নজরকাড়া কারুকার্য দেখলেই টের পাওয়া যায়। ১৮৯০ সালেরও আগে নির্মিত হয় এই জমিদার বাড়ি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, স্পেনের করডোভা নগরের আদলে নির্মিত এই জমিদার বাড়ি। কালীচরণ সাহা ও আনন্দ সাহা নামে দুই ভাই ১ হাজার ১৭৪ শতাংশ জমির উপর এই বাড়ি নির্মাণ করেন।
জমিদার বাড়ির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও সুন্দর ভবনের নাম কালীচরণ লজ। ইংরেজি ইউ অক্ষরের আদলে করা ভবনটি রানিদের জন্য নির্মাণ করা হয়। তাই একে রানি ভবনও বলা হত এককালে।
বিজ্ঞাপন
জমিদার বাড়ির ভেতরে বাগান, শিশুপার্ক, বিভিন্ন আর্টিফিশিয়াল স্থাপনা আছে। এছাড়া পাখ-পাখালি, বাগান, পুকুর, বিল্ডিং সব মিলিয়ে স্বপ্নপুরীর মতো মনে হয় মহেরা জমিদার বাড়ি।
রাজকীয় এই বাড়িতে প্রবেশের আগেই চোখে পরে ‘বিশাখা সাগর’ নামের বিশাল এক দীঘির। জমিদার বাড়ির উল্টো দিকে আছে পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একাডেমিক ভবন।
মূল ফটকের পরেই দেখা যায় চৌধুরী লজের। পাশাপাশি আছে আরও দুটি লজ। এর পাশেই আছে আকর্ষণীয় এক ভবন। যার নাম আনন্দ লজ। তার পাশে আছে মহারাজ লজ। ভবনগুলো দেখতে প্রায় একই রকম।
বিজ্ঞাপন
দৃষ্টিনন্দন লজগুলো দেখা শেষ হতেই পাসরা ও রানি পুকুর পারে খানিকটা বিশ্রাম নিতে পারেন। পুকুরের পাশেই আছে রঙিন মাছে ভরা অ্যাকুরিয়াম। আরও আছে লোহার তৈরি টেবিল ও চেয়ার। এবার ঘুরে দেখুন জাদুঘর।
ইতিহাস অনুযায়ী, স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকবাহিনী মহেড়া জমিদার বাড়িতে হামলা করে। জমিদার বাড়ির কূলবধূসহ পাঁচ গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সময়ে তারা লৌহজং নদীর নৌপথে এ দেশ ত্যাগ করেন। এখানেই তখন মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছিল।
এ জমিদার বাড়ি পুলিশ ট্রেনিং স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৭২ সালে। পুলিশ ট্রেনিং স্কুলকে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে উন্নীত করা হয় ১৯৯০ সালে।
বিজ্ঞাপন
কীভাবে যাবেন?
ঢাকার মহাখালী থেকে টাঙ্গাইলে চলাচলকারী বিভিন্ন বাসে চড়ে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে নাটিয়াপাড়ায়।
সেখান থেকে সিএনজি, অটোরিকশা, টেম্পো অথবা রিকশায় করে মহেরাপাড়া পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে।
এছাড়া আপনি ব্যাক্তিগত গাড়িতে করেও যেতে পারেন। ২০ টাকার টিকিট কেটেই আপনি পুরো জমিদারবাড়ি ঘুরতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
জেএমএস/এমএস
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন