নিষিদ্ধ এই ৫ স্থানে গেলেই শাস্তি হবে আপনার!
পর্যটকরা সব সময়ই বিভিন্ন গন্তব্যের খোঁজ করেন। বিশ্বে ভ্রমণের জন্য যেমন সুন্দর সুন্দর স্থান আছে ঠিক তেমনই কিছু বেআইনি ও নিষিদ্ধ স্থানও আছে। সেসব স্থান সুন্দর হলেও ভয়ংকর।
আর এ কারণেই কর্তৃপক্ষরা ওইসব স্থানে প্রবেশ করতে দেন না পর্যটকদের। এসব স্থানে প্রবেশ করতে গেলে গুনতে হয় জরিমানা এমনকি শাস্তিও পেতে পারেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক তেমনই ৫ স্থানের খোঁজ-
ল্যাসকাক্স গুহা, ফ্রান্স
এই গুহাগুলো ১৯৪০ সালে আবিষ্কৃত হয়। এসব গুহার দেওয়ালে খোদাই করা ও পশুর চিত্রকর্ম আছে। যা ১৭ হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো বলে ধারণা করা হয়। গুহাগুলো ১৯৬৩ সাল থেকে জনসাধারণের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।
স্নেক আইল্যান্ড, ব্রাজিল
মৃত্যুর ইচ্ছা না থাকলে কেউ এই জায়গায় যেতে চায় না! বিপজ্জনক ও অত্যন্ত বিষাক্ত সাপে পরিপূর্ণ একটি স্থান। রেকর্ড অনুসারে, দ্বীপটিতে প্রায় ৪০০ মারাত্মক সোনালি ল্যান্সহেড (পিট ভাইপারের একটি প্রজাতি) আছে।
এই সাপের বিষ এতটাই শক্তিশালী যে এর কামড়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই মানুষের মাংস গলে যেতে পারে। তাই এই দ্বীপে প্রবেশ অনুমতি দেওয়া হয় না। এটি একটি অবৈধ ও নিষিদ্ধ স্থান।
উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপ, ভারত
এটি বঙ্গোপসাগরের একটি বন দ্বীপ। স্থানটি সেন্টিনেলিজদের আবাসস্থল। তারা হলেন সেখানকার ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী যার আনুমানিক জনসংখ্যা ৫০০ জনেরও কম।
এরা বাইরের পৃথিবী থেকে একেবারেই নিরবচ্ছিন্ন। এমনকি এই ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীরা তাদের এলাকায় বাইরের কাউকেই প্রবেশ করতে দেয় না। এ কারণে সেখানেও যাওয়া বেআইনি।
ইউএস বুলিয়ন ডিপোজিটরি, কেনটাকি
এটি পৃথিবীর সবচেয়ে সুরক্ষিত স্থানগুলোর মধ্যে একটি! ফোর্ট নক্সের ইউএস আর্মি ইন্সটলেশনের এই রক্ষিত ভল্টটিতে টন টন সোনা ও গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নথি আছে। ভবনটি সব সময় সশস্ত্র প্রহরী ও চার ফুট পুরু গ্রানাইট প্রাচীর দ্বারা সুরক্ষিত আছে।
ইস গ্র্যান্ড ট্রাইন, জাপান
ইস গ্র্যান্ড হল প্রায় ২০০০ বছরের পুরোনো শিন্টো মন্দির, যা সূর্যদেবী আমাতেরাসুর জন্য নির্মিত হয়েছিল। প্রচলিত আছে, স্থানটিতে সেখানকার সম্রাটের পবিত্র আয়না আছে। শুধু রাজপরিবারের সদস্য ও কিছু পুরোহিত ছাড়া এই মন্দিরে সবার প্রবেশ নিষেধ। জাপানি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত মন্দিরটি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এএসএম