বুর্জ খলিফার চেয়েও ১০০ মিটার উঁচু যে রেস্তোরাঁ
দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবনগুলোর মধ্যে একটি। আর সেখানেই আছে সবচেয়ে উঁচু এক রেস্তোরাঁ অ্যাটমস্ফিয়া। রেস্তোরাঁটি ২০১১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচুর রেস্তোরাঁর রেকর্ড অর্জন করে।
আকাশচুম্বী বুর্জ খলিফার ১২২ তম তলায় (৪৪১.৩০ মিটার) অবস্থিত। এটি উচ্চমানের ফাইন ডাইনিং রেস্টুরেন্ট। এবার এর চেয়েও উঁচু রেস্তোরাঁর খোঁজ মিললো।
চিনের সাংহাইয়ের একটি ভবনে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেস্তোরাঁ তৈরি করা হয়েছে। জে হোটেল সাংহাই টাওয়ারের ১২০ তলায় চালু করা হয়েছে দ্য হ্যাভেনলি জিন রেস্টুরেন্ট।
সেখানে বসলে আপনি স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা পাবেন। জিন রেস্তোরাঁ রেকর্ড ধারকের চেয়েও ১০০ মিটার বেশি উচ্চতায় অবস্থিত।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস দ্বারা সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘কোনো বিল্ডিংয়ের সবচেয়ে উঁচু রেস্তোরাঁ’ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে জিন রেস্তোরাঁকে। এখানে মাটি থেকে ৫৫৬.৩৬ মিটার বা ১৮২৫ ফুট উঁচুতে বসে খাবার খাওয়ার সুযোগ পাবে অতিথিরা।
জে হোটেল সাংহাই টাওয়ারের জেনারেল ম্যানেজার জেনি ঝাং জানান, ‘যাত্রা শুরু পর থেকেই রেস্তোরাঁটি তার উচ্চমানের খাবারের অভিজ্ঞতা ও পরিষেবার জন্য গ্রাহকদের কাছে দারুণ প্রশংসিত হয়েছে। মেঘের ওপরে বসে খাবার খাওয়া সুযোগ পেতে চাইলে সবাই চলে আসতে পারেন এই রেস্তোরাঁয়।’
এই রেস্তোরাঁয় আছে অবিশ্বাস্য এক খোলা রান্নাঘর। যার মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত জানালা আছে। ফলে বাইরের অত্যাশ্চর্য দৃশ্য চোখের সামনে ধরা পড়ে। রেস্তোরাঁটির আরেকটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো একটি ৩০ মিটার লম্বা ইতালীয় মোজাইক টাইল ম্যুরাল।
এতে সিল্ক রোডকে চিত্রিত করা হয়েছে। রেস্তোরাঁটিতে একটি নজর কাড়ানো মেন্যু আছে। এটি পশ্চিমী, চীনা ও জাপানি খাবারের একটি দুর্দান্ত মিশ্রণ সরবরাহ করে। বিকেলের চা-কফি পান করতেও সেখানে যেতে পারবেন গ্রাহকরা।
জে হোটেল সাংহাই টাওয়ার চীনের সবচেয়ে উঁচু। আর পৃথিবীর দ্বিতীয় সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং এটি। এক নম্বরে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা আছে। যদিও সাংহাইয়ের রেস্তোরাঁটি একটি বিল্ডিংয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ ঠিকই, তবে এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ নয়।
চিনের দর্শনীয় স্থানের তালিকায় এবার আরও একটি নতুন সংযোজন হলো। যা এরই মধ্যে রেকর্ড গড়েছে। বর্তমানে বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবনটি হলো বলিভিয়ার চাকালতায়া স্কি রিসর্ট। এর উচ্চতা ৫৩৪০ মিটার বা ১৭ হাজার ৫০০ ফুট।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া/ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
জেএমএস/এএসএম