১০০ টাকা টিকিটে ঘুরে আসুন টিউলিপ রাজ্যে
টিউলিপ ফুল দেখলেই মন জুড়িয়ে যায়। হরেক রঙা টিউলিপ মুগ্ধতা ছড়ায় চারপাশে। শীতপ্রধান দেশগুলোতে টিউলিপ উৎপাদন বেশি হয়। তবে এখন আর টিউলিপ দর্শনে বিদেশে যেতে হবে না কাউকে! চাইলে দেশেই ঘুরতে যেতে পারবেন টিউলিপ রাজ্যে। তাও আবার ঢাকার অদূরেই।
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেই এখন চাষ হয় টিউলিপের। বিদেশের এই ফুল এখন মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন আনাচে-কানাচে। পঞ্চগড় থেকে শুরু করে যশোরের গদখালি এমনকি গাজিপুরেও এখন দেখতে পাবেন টিউলিপ রাজ্য।
টিউলিপ ফুল ব্যাপকভাবে উৎপাদিত হয় নেদারল্যান্ডসে। টিউলিপকে নিয়েই সেখানে গড়ে উঠেছে শিল্প। তাই দেশটি প্রতিবছর পালন করে টিউলিপ উৎসব। আর তুরস্কের জাতীয় ফুলও এই টিউলিপ।
অবাক করা বিষয় হলো, বিদেশের এই জনপ্রিয় ফুল এখন সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে দেশেও। গাজীপুরে গেলেই এখন দেখা যাবে টিউলিপের বাগান। সেখানকার শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পূর্ব খণ্ডগ্রামের ফুলচাষি দেলোয়ার হোসেন গড়ে তুলেছেন টিউলিপ রাজ্য।
২০২০ সালে প্রথমবার সীমিত পরিসরে এই ফুলের বাগান করেন তিনি। এবার তৃতীয়বারের মতো তার বাগানে ফুটেছে প্রায় ১৩ রঙের টিউলিপ। জানুয়ারির মাঝামাঝিতে দেলোয়ারের বাগানে ফুটতে শুরু করে এই টিউলিপ ফুল।
টিউলিপের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ঢাকাসহ এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন দেলোয়ার হোসেনের টিউলিপ রাজ্যে। আগত দর্শনার্থীরা বাহারি রঙের টিউলিপের মধ্যে দাঁড়িয়ে সেলফি ও ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশুরা দেলোয়ারের বাগানে টিউলিপ দর্শন করতে পারবেন। বিগত দুবছর বিনামূল্যেই সবাই এই টিউলিপ বাগান পরিদর্শন করতে পেরেছেন।
তবে এবার বাগান বড় হওয়ায় ও দর্শনার্থীদের চাহিদা বাড়ায় প্রবেশ ফি নির্ধারণ করেছেন দেলোয়ার হোসেন। সঙ্গে আছে নানা ধরনের বিধিনিষেধ। ১০০ টাকা টিকিট কেটে দর্শনার্থীরা টিউলিপ রাজ্যের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
গত বছর দ্বিতীয়বারের মতো যখন দেলোয়ার হোসেনের বাগানে টিউলিপ ফুল ফোটে, তখন তা নজর কেড়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বাগান পরিদর্শনে এসেছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি টিউলিপ বাগান পরিদর্শন করেন নেদারল্যান্ডসের ডেপুটি হেড অব মিশন পাউলা রুজ শিনডেলার। সে সময় তিনি বাংলাদেশের মাটিতে স্বদেশি ফুলের বাহার দেখে উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন।
জেএমএস/এএসএম