এক দালানেই ১০ হাজার মানুষের বাস!
বিশাল এক দানব আকৃতির দালান। নাম মনস্টার বিল্ডিং। পাঁচটি দালান গাঁ ঘেঁষে লেগে থাকায় দেখলে মনে হবে একটিই ভবন। ১৮ তলার দালানগুলোতে মোট ফ্ল্যাট আছে ২২৪৩টি।
অবাক করা বিষয় হলো, এই দৈত্যবাড়ির ২২৪৩টি ফ্ল্যাটগুলোতে বসবাস করেন ১০ হাজার মানুষ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে ছোট ছোট পাখির বাসা!
সেখানে ঠাসাঠাসি করেই বসবাস করছে হাজার হাজার পরিবার। এই দৈত্যাকার দালানের অবস্থান হংকংয়ের কোয়ারি বে-র ইয়ায়ু মান স্ট্রিটের অনেকটা জায়গা জুড়ে। ২-৩২ নম্বর রাস্তা পর্যন্ত এর অবস্থান।
অনেকেই হয়তো এমন দালান দেখেছেন বিভিন্ন সিনেমায়। ‘গোস্ট ইন দ্য শেল’ ও ‘ট্রান্সফরমারস: এজ অব এক্সটিনশন’ ছবি দুটির দৃশ্যায়ন হয়েছিল এই মনস্টার বিল্ডিংয়ে।
এ ছাড়াও ‘ল্যাবেরিন্থ’ ও ‘কেভ মি ইন’ নামে দুটি মিউজিক ভিডিও শুটিং করা হয়েছে। এই মনস্টারখ্যাত দালানের ছবি তোলার জন্য সেখানে ভিড়েন পেষাদার সব চিত্রশিল্পীরা।
এমনকি পর্যটকদেরও ভিড় জমে। এ কারণেই দৈত্যবাড়ির বাসিন্দারা নোটিশ ঝুলিয়েছেন- ‘ছবি তুলতে ভেতরে ঢুকবেন না’।
এই দালান দেখতে অনেকটা ইংরেজি ‘ই’ অক্ষরের মতো। মাটিতে দাঁড়িয়ে উপর পানে তাকালে অল্প পরিসরেই দেখা মিলবে আকাশ। ষাটের দশকে নির্মিত হয় দৈত্যবাড়ি।
ওই দেশের স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সরকার এই ভবনের তৈরি করেছিল। যদিও তখন এটি দৈত্যবাড়ি হয়ে ওঠেনি। নাম ছিল বাকগা সানজুন। পরে ১৯৭২ সালে বিক্রি হয়ে যায়।
এরপর ৫টি ব্লকে বিভক্ত হয় দৈত্যবাড়ি। ভবনগুলোর নাম- ফুক সেয়ং বিল্ডিং, মন্তানে ম্যানসন, ওসিয়নিক ম্যানসন, ইক সেয়ং বিল্ডিং ও ইক ফ্যাট বিল্ডিং। এর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু হলো ওসিয়নিক।
সবচেয়ে অবাক করা তথ্য হলো, সরকারি খাতায় এই দৈত্যবাড়ির কোনো অস্তিত্ব নেই। এমনকি মনস্টার বিল্ডিং নামে কোনো বাড়ির নামও নেই হংকংয়ে। সরকারি নথিতে এটি শুধু ৫টি ভবন নিয়ে তৈরি একটি আবাসন।
সূত্র: দ্য ট্রাভেল ম্যাগাজিন
জেএমএস/এএসএম