বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘড়ির দেখা মিলবে যেখানে
বর্তমান বিশ্বে বাহারি সব ঘড়ি আছে। একেকটি ঘড়ির বিশেষত্বও আবার ভিন্ন। কোনোটি আকারে অনেক বড়, আবার কোনোটি অনেক ছোট।
তবে বিশ্বে এমন অনেক ঘড়ি আছে যেগুলো দেখলেই পর্যটকরা অবাক হয়ে দেখতেই থাকেন সেগুলোর সৌন্দর্য। তবে কখনো কি মনে প্রশ্ন এসেছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘড়ি কোনটি?
মক্কায় অবস্থিত মক্কা ক্লক বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঘড়ি। পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র মক্কা নগরীর কাবা শরীফের পাশেই অবস্থিত ১৩০ তলা উঁচু রয়েল ক্লক টাওয়ার। এই টাওয়ারের আরবি নাম ‘আবরাজ আল-বাইত’।
জানা যায়, এই ক্লক টাওয়ার তৈরি করতে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে। জানলে অবাক হবেন, এই ঘড়ির ওজন ৩৬ হাজার টন। এই ঘড়ি ও টাওয়ারের নকশা করেছেন জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডের স্থপতিরা।
সুইস ও জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের ২৫০ জন অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের তত্ত্বাবধানে এই ঘড়ি স্থাপন করতে সময় লেগেছে ৮ বছর। ঘড়ির ভেতরে বিভিন্ন রঙের লেখাগুলো বসানো হয়েছে ১৪ হাজার কাচের টুকরোর সমন্বয়ে।
যার প্রতিটি কাচের ওজন ১৬ টন। মূল্যবান এই কাচগুলো পৃথিবীর অন্য কোথাও আর নেই। দিনে ও রাতে ভিন্ন ভিন্ন রং ধারণ করে এই কাচগুলো। রাতে সবুজ আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে ঘড়িটি।
এই ঘড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে কার্বন ফাইবার। চতুর্মুখী ঘড়িটির চারপাশে আছে মোজাইকের কারুকার্য করা শিলালিপি। তার ওপরে অলংকরণ করে আরবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘আল্লাহু আকবার’।
এই টাওয়ারে দর্শনার্থীরা ঢুকতে পারেন ১৫০ সৌদি রিয়ালের বিনিময়ে। এই রয়েল ক্লক টাওয়ারে প্রবেশ করলে ঘড়ির যন্ত্রপাতিসহ, সব তথ্য জানা যাবে। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, এই ঘড়ির টাওয়ারের ভেতরে আছে খুবই সুন্দর এক হোটেল। যেখানে একসঙ্গে অনেক মানুষ থাকতে পারেন।
এই ঘড়ির সৌন্দর্য দেখে সবাই মুগ্ধ হন। মক্কা নগরীর চারপাশের পাহাড়ি এলাকার অন্তত ৩০ কিলোমিটার দূর থেকেই ঘড়িটি দেখা যায়। এই ঘড়ির দৈর্ঘ্য চারদিকে ৪৩ মিটার। এর উচ্চতা মাটি থেকে ৬০০ মিটার।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এই ঘড়ি তৈরির কাজ শুরু হয় ২০০৪ সালে। আর শেষ হয় ২০১১ সালে। ২০১২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় এই রয়াল ক্লক টাওয়ারের। ঘড়িটি ২০১২ সালে প্রথম স্থান দখল করে নেয়।
সূত্র: বিবিসি/ব্রিটেনিকা
জেএমএস/জেআইএম