জনপ্রিয় ৭ পর্যটন স্থান সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য
করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে ঘরবন্দি মানুষ। তবে স্বল্প পরিসরে কার্যক্রম শুরু হলেও জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই। বাড়িতে থেকেও বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। তাই এসব থেকে বের হয়ে আসতে প্রয়োজন হাওয়া বদলের।
যদিও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির জন্য আনন্দ ভ্রমণ জরুরি। আশার কথা হলো, বিশ্বব্যাপী লকডাউন চিরকাল স্থায়ী হবে না। স্বল্প পরিসরে হলেও ধীরে ধীরে নতুন নিয়মে পর্যটকরা আবারও বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় স্থানসমূহ ঘুরে দেখবেন।
এমনই কিছু জনপ্রিয় পর্যটন স্থান রয়েছে। যেখান থেকে আপনারা অনুমতি সাপেক্ষে ভ্রমণ করে আসতে পারবেন। এ ছাড়াও আপনাদের পছন্দের তালিকায় নতুন দু’একটি স্থান যুক্ত হতে পারে–
ব্যাংকক: ব্যাংকককে স্থানীয়রা ‘ক্রুং থিপ’ বা ‘অ্যাঞ্জেলসের শহর’ বলে ডাকে। ব্যাংকক হচ্ছে থাইল্যান্ডের রাজধানী। যা দেশটির অন্যতম একটি পর্যটন স্থান। এমনকি বিশ্বের অন্যতম দর্শনীয় স্থানের একটি। যেখানে ভোরের মন্দির, গ্র্যান্ড প্যালেস, স্কাই বার, ব্যাং ক্রাচাও বাগান, তিন মাথাওয়ালা হাতির মূর্তিসহ অনেক কিছু দেখতে অসংখ্য পর্যটক ভিড় করে থাকেন।
জার্মানি: জার্মানি সেপ্টেম্বরের শেষ এবং অক্টোবরের শুরুতে ‘বিয়ার উৎসব’ পালন করে। দেশটি দুর্দান্ত ফুটবল দল এবং গাড়ির ব্র্যান্ডের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু ক্রিসমাসের সময় সবচেয়ে জাকজমকপূর্ণ ক্রিসমাস মার্কেট স্থাপন করে, যা সবচেয়ে ব্যতিক্রম। তাছাড়া এখানে প্রচুর পুরাতন ঐতিহাসিক দুর্গ রয়েছে। যা দেখতে অসংখ্য ভ্রমণপ্রিয় মানুষ আসে।
নিউজিল্যান্ড: নিউজিল্যান্ডে জমির পরিমাণ অনেক। কিন্তু জনবসতি খুবই কম। এখানে জনসংখ্যার প্রায় ৭ শতাংশ মানুষ রয়েছে। বাকি বাসিন্দারা সবই প্রাণি। যদিও বিষধর সাপ নেই। দেশটিতে মানুষের চেয়ে ভেড়ার অনুপাত বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। এক তথ্যে দেখা গেছে, জনপ্রতি ভেড়ার সংখ্যা ৫.৬টি।
স্কটল্যান্ড: স্কটল্যান্ড একটি জাদুময় দেশ। ধারণা করা হয়, এখানে একটি দৈত্য লুকিয়ে আছে। যা স্কটিশ পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত। দেশটিতে অনেক মধ্যযুগীয় দুর্গ এবং পবিত্র স্থাপনা রয়েছে। এখানে পুরুষরা কিট পরেন। তারা ব্যাগ পাইপ খেলেন, যা এখনো জনপ্রিয়।
মেক্সিকো: মেক্সিকো সুস্বাদু সব খাবার এবং ‘টকিলা’র জন্য সুপরিচিত। দেশটি তাদের নিহতদের স্মরণে ‘ডে অব ডেড’ পালন করে। যা অনেক সিনেমা এবং টিভি সিরিজে দেখানো হয়েছে। মেক্সিকোয় ৩০০টিরও বেশি ভাষা ও উপভাষায় কথা বলা হয়। ফলে সব বিষয় সম্পর্কে জানতে ভ্রমণপ্রিয় মানুষের সুবিধা হয়।
দুবাই: এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি শহর। এ শহরে ২শ’রও বেশি জাতির বাসস্থান। এখানে প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটককে স্বাগত জানানো হয়। এখানে কৃত্রিম পাম দ্বীপ এবং অন্যান্য আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে। বিশ্বব্যাপি পর্যটকদের অন্যতম জনপ্রিয় স্থান এখন দুবাই সেন্ড গ্লোরি।
আইসল্যান্ড: আইসল্যান্ড প্রচুর আগ্নেয়গিরি এবং হিমবাহের কারণে ‘আগুন ও বরফ’র জায়গা হিসাবে পরিচিত। তবে এটি অন্যতম নিরাপদ দেশ। যেখানে কোনো অপরাধ, মারামারি, চুরি, ডাকাতি নেই। পর্যটকরা সেখানে নিশ্চিন্তে নিরাপদে সময় কাটাতে পারেন। দেশটির কোনো সেনা বা বিমান বাহিনী নেই। এতটাই নিরাপদ যে, মায়েরা তাদের বাচ্চাদের রেস্তোরাঁ এবং দোকানের বাইরে ছেড়ে দিয়ে কাজ করেন।
সালমান/এসইউ/এএ/জেআইএম