ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ভ্রমণ

পাখিদের আত্মহত্যা দেখতে পর্যটকদের ভিড়

ভ্রমণ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:২২ পিএম, ০৬ অক্টোবর ২০১৯

আসামের এই গ্রামের নাম জাতিঙ্গা। যার অর্থ ‘বৃষ্টি ও পানি বের হওয়ার পথ’। রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এ গ্রাম। আর পর্যটকরা এখানে ভিড় করেন পাখিদের আত্মহত্যা দেখতে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।

আসামের শিলং পাহাড়ের পর শুরু হয় হাফলং পাহাড়ের সারি। আসামের উত্তর কাছাড় জেলার সদর হাফলং থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ছোট্ট এই গ্রাম। মর্মান্তিক এ ঘটনার জন্য আলোচিত হয়ে আসছে জাতিঙ্গা।

birds

জানা যায়, শতাধিক বছর আগে নাগা উপজাতির কিছু লোক জাতিঙ্গায় গিয়েছিল। সেখানে আগুন পোহানোর সময় তারা এক আশ্চর্য দৃশ্য দেখতে পায়। দলে দলে পাখি এসে আগুনে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করছে। পাখিদের এ আত্মহত্যাকে স্থানীয়রা ‘ঈশ্বরের দান’ বলে মনে করেন।

প্রতি বছরের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এখানে বিভিন্ন ধরনের পাখি এসে আত্মহত্যা করে। রহস্যময় এমন ঘটনাই জাতিঙ্গাকে আলোচিত করে তুলেছে পর্যটকদের কাছে। তাই আসাম পর্যটন দফতর একটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করেছে সেখানে। যাতে ওই টাওয়ারে উঠে রাতের বেলা পাখিদের আত্মহত্যা দেখা যায়!

birds

স্থানীয়রা মাংসের প্রয়োজন হলে রাতে আগুন জ্বেলে বসে। আর পাখিরা ডানা ঝাপটে আসতে শুরু করে। আলোর উৎসের ঠিক উপরে এসে পাখা আর পা ছেড়ে দিয়ে ধপ করে মাটিতে পড়ে। মায়াবি চোখের পাখিগুলোকে তখন মনে হয় অর্ধমৃত।

birds

আকাশ থেকে ঝাপিয়ে পড়ার সময় সব পাখি আগুনের উপর পড়ে না। কিছু পাখি আগুনের আশেপাশে পড়ে। সেগুলো মরার মতোই পড়ে থাকে এবং মানুষের হাতে ধরা দেয়। তখন পাখি শিকারের জন্য আর কষ্ট করতে হয় না। এছাড়া গুলতি দিয়েও শিকার করা যায়।

এসইউ/জেআইএম

আরও পড়ুন