মিনিটেই দুই মহাদেশ দর্শন!
তুরস্কের ইস্তানবুলে একটি ঝুলন্ত ব্রিজের একটি সাইনবোর্ড দেখার জন্য গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে উন্মুখ হয়ে বাসের মধ্যে বসেছিলেন বাংলাদেশ থেকে সফররত বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী।
তীব্র উত্তেজনা তাদের মাঝে। কিছুক্ষণ পর পর একে অপরকে জিজ্ঞাসা করছিলেন, সাইনবোর্ডটি কি দেখা যাচ্ছে? অবশেষে সবার চোখে পড়ল কাঙ্ক্ষিত সেই সাইন বোর্ড খানা। তাতে ইংরেজি হরফে লেখা ‘ওয়েলকাম টু এশিয়া’।
সাইনবোর্ড দেখে উল্লাসে ফেটে পড়লেন সকলেই। কারণ কিছুক্ষণ আগেই তারা ছিলেন ইউরোপের মাটিতে আর ক্ষণিকের মধ্যেই তারা পা রাখলেন এশিয়ার মাটিতে। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দুই মহাদেশের মাটিতে পা রাখতে পেরে তারা বেশ খুশি।
টার্কিশ এয়ারলাইন্সের আমন্ত্রণে কয়েকজন মিডিয়াকর্মী বর্তমানে তুরস্কের ইস্তানবুলে অবস্থান করছেন। ট্যুরের অংশ হিসেবেই তাদের মার মার সমুদ্রের ওপর নির্মিত ব্রিজের ওপর দিয়ে ইউরোপ থেকে এশিয়াতে আসার সুযোগ করে দেয়া হয়।
ইউরোপ থেকে এসে মিডিয়াকর্মীদের কে ক্যাম লিগা পাহাড়ের ওপরে নেয়া হয়। এ পাহাড়ের ওপর থেকে নিচে মার মার সমুদ্রের নীল জলরাশি ও বিপরীত দিকের পাহাড়ের ওপরে নির্মিত ঘরবাড়ি দেখতে পাওয়া যায়।
বাস থেকে নেমে কামলিকা পাহাড়ের ওপরে উঠতে যেতেই ট্যুরিজম পুলিশের বাধা। মিডিয়াকর্মীদের সাথে থাকা টার্কিশ এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশি জেনারেল ম্যানেজার পুলিশকে নিজের পরিচয় দিয়ে ওপরে যাওয়ার অনুমতি চাইলেন। দুইজন পুলিশ উল্টো তার কাছ থেকে আইডি কার্ড চেয়ে নিয়ে কী যেন পরীক্ষা করতে চাইলেন। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর অনুমতি মিলল।
ওপরে কমলিকা নামে একটি সুন্দর পার্ক রয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে সবুজে ঘেরা এ পার্কে পরতে পরতে সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে। বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা দূর-দূরান্ত থেকে এ পাহাড়ের চূড়া থেকে একসঙ্গে ইউরোপ-এশিয়ার বাড়িঘর দেখার সুযোগ কেউ হাতছাড়া করতে চান না। এখানে সবুজ ঘাসের গালিচায় বসে পরিবার পরিজন নিয়ে পর্যটকদের খোশগল্প করতে দেখা যায়। কেউ কেউ ফুডকোর্টে বসে বিভিন্ন মজাদার খাবার চেখে দেখেন। শিশুদেরকে আপনমনে শিশুপার্কে খেলতে দেখা যায়।
এমইউ/এনএফ/জেআইএম