‘ওয়াইফাই নো প্রবলেম’
সকাল সাড়ে ৭টায় ইস্তাম্বুলের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ার পর অফিস-বাসা, বন্ধু-স্বজনদের সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন। অনলাইন নিউজ পোর্টালে চাকরি করার সুবাদে ঘুমের সময় ছাড়া দিনরাতের বাকি সময়ের সারাক্ষণই অনলাইনে থাকা হয়। টার্কি এয়ারলাইন্সের মিডিয়া ট্যুরের সদস্য হিসেবে যদিও বিজনেস ক্লাসের যাত্রী হওয়ায় কেবিন ক্রুদের কাছে কদর একটু বেশিই মিলছে। বেল টিপলেই দফায় দফায় হরেক রকমের সুস্বাদু খাবার, ড্রিংকস, চা-কফি সবই আসছে। সুইচ টিপলেই বেডের মতো লম্বা হচ্ছে বসার আসন।
খাবার খেয়ে সটান হয়ে ঘুমানোর চেষ্টা। তন্দ্রার মাঝে বার তিনেক পাইলটের অ্যানাউন্সমেন্ট, আবহাওয়া বিরূপ হওয়ায় সিট বেল্ট বেঁধে নিন। তন্দ্রার মাঝেই সিট বেল্ট টেনে লাগাতেই প্লেন নিচে নেমে যাওয়া ও ঝাঁকুনি খেয়ে কিছুটা ভয় পাওয়া- এরই মাঝে কাটছে সময়।
বিমান ছাড়ার পরপরই কেবিন ক্রুদের ওয়াইফাই কানেকশন দিতে অনুরোধ করেছিলাম। তারা মিষ্টি হেসে কয়েকবার চেষ্টা করে সরি বলে দায় সারলেন। বেলা ২টার দিকে আরও একবার তন্দ্রা ভেঙে আসন থেকে ওঠে গিয়ে নতুন আরেক ক্রুকে অনুরোধ করতে সেও হাসিমুখে অনেকক্ষণ ধরে চেষ্টা করে চলছেন। এমন সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন টার্কিশ এয়ারলাইন্সের কান্ট্রি ম্যানেজার (বাংলাদেশ) তুরস্কের ইমরাহ কারাকা।
রাতে প্রথম সাক্ষাতে তিনি বলেছিলেন, ‘লেটস এনজয় দ্য ট্রিপ।’ বলেছিলেন, ‘উড়োজাহাজে ওঠে ঘুম দেবেন।’ যে কথা সেই কাজ। ঘুম থেকে ওঠে আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, হোয়াটস প্রবলেম?’ ওয়াইফাই সমস্যার কথা বলতেই তিনি অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ওয়াইফাই সংযোগ করে দিলেন। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ফুট উচ্চতায় প্রথমে নিজ প্রতিষ্ঠান জাগো নিউজের সাইট ব্রাউজ করে অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করলো।
ওয়াইফাই সংযোগ পেতে দেখে মিডিয়া ট্যুরের আরও কয়েকজন সদস্য ছুটে গেলেন কান্ট্রি ম্যানেজারের কাছে। তিনিও হাসিমুখে সংযোগ পাইয়ে দিলেন সকলকে। তবে যুগান্তরের চিফ রিপোর্টার মাসুদ করিম ভাই কোনো এক কেবিন ক্রুকে দিয়ে সবার আগে ওয়াইফাই সংযোগ পান। তিনি বলছিলেন, ওদের ডেকে না বলে উঠে গিয়ে অনুরোধ করলে কাজ হয়। ওয়াইফাই সংযোগ পাওয়া নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে শুরু করেন অনেকে।
এমইউ/আরএস/জেআইএম