সমুদ্রকন্যা কুয়াকাটায় স্মৃতিময় ভ্রমণ
ভ্রমণপ্রিয় মন আমার, ভ্রমণে টানে প্রাণ। আর তাই প্রাণের টানে সৌন্দর্য উপভোগের জন্য এবার পছন্দ করে নিলাম কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। ঘুরতে যেতে বরাবরই ভালো লাগে। সময় এবং সুযোগের মিলন ঘটলে চলে যাই কোন বিশেষ স্থানে। অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল কুয়াকাটা যাওয়ার। কোন না কোন কারণে যাওয়া হচ্ছিল না। এমনিতেই সাংবাদিকদের ছুটি খুবই কম। আমি তখন দৈনিক বর্তমান পত্রিকায় সাংবাদিকতা করি। বন্ধুদের চাপের কারণে এবার আর কোন অযুহাতই আটকাতে পারলো না। যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত করলো বন্ধু দৈনিক মানবকণ্ঠের কামরুল হাসান আর দৈনিক মানবজমিনের কাজী সুমন। পরিবার নিয়ে যাত্রা হবে এবার। সদরঘাট থেকে লঞ্চে পটুয়াখালী যাবো। ওখান থেকে কুয়াকাটা। এরজন্য লঞ্চের কেবিন নেওয়া হলো। কিন্তু কাজী সুমন তো অবিবাহিত। তার সঙ্গে সঙ্গ দেবে কে? এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা। পরে সিদ্ধান্ত হলো, সুমনকে সঙ্গ দিতে হবিগঞ্জ থেকে চলে আসবে তার ডাক্তার বন্ধু পীযুষ।
সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হলো। সবাই অফিসের কাজ দ্রুত শেষ করে সদরঘাটের দিকে রওনা হলাম। সদরঘাটে আগে থেকে লঞ্চের টিকিট করে রেখেছেন প্রভাবশালী ফটো সাংবাদিক আবুল বাশার নানা ভাই। যদিও তার সাথে প্রথম যোগাযোগ করেছেন দিনকালের রফিক মৃধা। এ কারণেই লঞ্চের কেবিন পেতে কোন বেগ পেতে হয়নি। আমরা পরিবার নিয়ে পৌঁছে দেখি, গেটেই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন সাংবাদিক নানা ভাই। বেশ সম্মানের সাথে কেবিন বুঝিয়ে দিলেন। এরপর লঞ্চ ছেড়ে দেওয়ার আগপর্যন্ত নানা ভাই আমাদের সাথে আড্ডা দিলেন। সদরঘাটের কালো পানি নিয়ে বেশকিছু সময় ধরে মজা করি সবাই। নানা নেমে গেলেন। লঞ্চ ছেড়ে দিলো। লঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে আমি ও আমার স্ত্রী শিরিনা মেহফুজ দু’পাশের দৃশ্য দেখতে থাকি। বেশ ভালোই লাগে। আর একটি সূর্যাস্তের সাক্ষী হয়ে রইলাম আমরা। মাঝে মাঝে অপর দিক থেকে দু’একটা লঞ্চ আমাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছে। লঞ্চে ইঞ্জিনের গুড়গুড় শব্দ ছাড়া আর সব কেমন যেন নীরব-নিস্তব্ধ। সময়ের সাক্ষী হিসেবে ছবি তুলে নিলাম কিছু।
সন্ধ্যা বিদায় নিলো। রাতের পর্ব শুরু হলো। কেবিনে না গিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে পানির উপরে ভেসে যাওয়ার আনন্দ উপভোগ করলাম। আমার স্ত্রীর জীবনে প্রথম লঞ্চে দূরের যাত্রা। বেশ উপভোগ করছে সে। কামরুল আর ভাবির তেমন অনুভূতি নেই। কারণ তাদের বাড়ি বরিশাল। লঞ্চে তারা বহুবার যাওয়া-আসা করেছে। তবে, কাজী সুমন আর পীযুষের অনুভূতিও বেশ চোখে পড়ার মতো। রাত কিছুটা গড়িয়ে গেলো। এবার রাতের খাবার পালা। লঞ্চের ক্যান্টিনের দিকে অনেকেই যাচ্ছেন। আবার কেউ কেবিনে বসে খাবার খাচ্ছেন। আমাদেরও ভিন্ন আয়োজন- কামরুলের স্ত্রী আমাদের ভাবি বড় কষ্ট করে বাসা থেকে মাংস-পোলাও রান্না করে এনেছেন। ভাবছিলাম, তার একমাত্র ছেলে রওনকের জন্য। পরে জানতে পারলাম, আমাদের সবার জন্য। কেবিনে বসেই মজা করে খেলাম। এরপর কখনো কেবিনে, কখনো বারান্দায় বসে রাতের দৃশ্য দেখে সময় কেটে যায়।
লঞ্চে কিছু মানুষ নামাজ পড়েন। বাঁক ঘোরার সাথে সাথে কেবলার দিকও পরিবর্তন হয়ে যায়। নামাজের মধ্যেই দেখলাম একজন নিজের দিক পরিবর্তন করে নিয়েছেন। চায়ের দোকানে দেখলাম, লুডু বোর্ড পাওয়া যায়। অনেকেই সেই লুডু এনে খেলছেন। দুইটার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি। সাড়ে তিনটার দিকে একটা ঝাঁকিতে ঘুম ভেঙে যায়। উঠে দৌড়ে বারান্দায় এসে দেখি চারদিক কুয়াশাচ্ছন্ন। লঞ্চ চলছে তার নিজস্ব গতিতে। কমে যাচ্ছে রাতের ব্যবধান। অপেক্ষা শুধু ভোরের।
> আরও পড়ুন- দক্ষিণাঞ্চলে নৌপথে যাতায়াতের সময়সূচি
সাইরেনের শব্দে ভোর হলো। জীবনের দেখা নতুন ভোর। পটুয়াখালী লঞ্চঘাটের ভোর। এবার ব্যাগ গুছিয়ে নামার পালা। লঞ্চঘাটে আগে থেকেই মাইক্রোবাস নিয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন দৈনিক মানবজমিনের পটুয়াখালী প্রতিনিধি জাফর আহমেদ ভাই। চমৎকার একজন মানুষ তিনি। প্রথম দেখাতেই মৃদু হাসি দিয়েই পরিচয়ের সূত্রপাত। যেন কত আপন তিনি। মাইক্রোতে বসেই চলে এলাম পটুয়াখালী চৌরাস্তার মোড়ে। ওখানে ফুটওভার ব্রিজের নিচেই ভালো একটি হোটেলে সকালের নাস্তা করলাম। এবার অপেক্ষা শুরু হয় মানবজমিনের বন্ধু শ্যামনের জন্য। তিনি পরিবার নিয়ে বরিশাল থেকে এসে আমাদের সাথে যোগ দেন।
এদিকে জাফর ভাই সিদ্ধান্ত নেন, আমরা আগেই বৌদ্ধ মন্দির ও রাখাইন পল্লি যাবো। চৌরাস্তা থেকে মাইক্রোবাসে রওনা হলাম। অচেনা পথে চলছে মাইক্রোবাস। কুয়াকাটার মিস্ত্রিপাড়ায় বৌদ্ধ মন্দির, যেখানে রয়েছে প্রায় ৩০ ফুট উচ্চতার একটি বুদ্ধমূর্তি। পাশেই রয়েছে পবিত্র কুয়া। মন্দির আর পবিত্র কুয়া দেখে ভালো লাগলো। সবাই পরিবার নিয়ে ছবি তুলে নেই। ফটো সাংবাদিক হিসেবে বেশ ভালো দায়িত্বপালন করেন জাফর ভাই। আর তার পাশেই রাখাইন পল্লি। সেই পল্লিতে রাখাইনদের পণ্যের পসরা ঘুরে দেখলাম। কিছু কেনাকাটাও করলাম। সবাই মিলে আবার মাইক্রোবাসে করে রওয়ানা দেই কুয়াকাটা সাগরপারের দিকে। পথে শেখ জামাল ও শেখ কামাল ব্রিজ পার হওয়ার সময় বরই কিনে নেন জাফর ভাই। সেই মিষ্টি বরই খেয়ে চলে আসি কুয়াকাটা।
জাফর ভাই আগে থেকেই আমাদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করে রাখেন। ভ্রমণপিপাসুদের এতটাই ভিড় ছিলো যে, হোটেলে সিট হয়নি। পরে এলজিইডির কোয়ার্টার ভাড়া পাই। বেশ বড় রুম ছিল। খোলামেলা পরিবেশ। পাশেই প্রাইমারি স্কুল। দোতলার রুমে গিয়ে পোশাক পরিবর্তন করে চলে যাই সমুদ্র তীরে। জিনিসপত্র জাফর ভাইয়ের কাছে বুঝিয়ে দিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়ি সমুদ্রের বুকে। লাফালাফি, ঝাঁপাঝাঁপি, ছবি তোলা আর ঢেউয়ের সাথে কাটতে থাকে আনন্দের সময়।
অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকটা। কুয়াকাটা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র সমুদ্রসৈকত, যেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অবলোকন করা যায়। কুয়াকাটা সমুদ্র মাত্র ২০ কিলোমিটার লম্বা। রাস্তা থেকে সৈকতে এসে নামলে ডানে লেবুচর ও ফাতরার বন এবং বামে গঙ্গামায়ার চর। ছোট এই সৈকতে নেই কোন আভিজাত্য বা চাকচিক্য! এ যেন প্রকৃতির সাজানো আঁকা ছবি। নারিকেল গাছের চিরল পাতার ফাঁক দিয়ে সূর্যাস্ত মনে হয় স্বপ্নের দুনিয়ায়। অসীম এ সমুদ্রের মাঝে নির্ভয়ের সৈনিকদের দেখে বিস্মিত হই। জীবন ধারণে সমুদ্রকে সঙ্গী করে নিয়েছে এরা।
সমুদ্রস্নান শেষ করে দ্রুত রুমে ফিরে আসি। কেননা ক্ষুধায় পেট চো-চো করছে। রুমে এসে পোশাক পরিবর্তন করে খাবার খাই সমুদ্রপাড়ের হোটেলে। সারি সারি অনেকগুলো খাবার হোটেল। খাবারের মান ততোটা ভালো না হলেও দামটা একটু বেশি। তবুও খেতে হলো। জাফর ভাইয়ের সৌজন্যে তুলনামূলক ভালো খাবারটাই খেলাম। খাওয়ার পর শরীর শুধু বিছানা টানে। বুঝলাম ক্লান্তি চলে এসেছে। তাই সবাই রুমে গিয়ে বিশ্রাম নিলাম।
> আরও পড়ুন- ছেড়া দ্বীপে নীল-সবুজের হাতছানি
বিকেলে জাফর ভাইয়ের নেতৃত্বে সূর্যাস্ত দেখার জন্য কামরুল ও আমি পরিবার নিয়ে সাগরপাড়ে এসে দাঁড়াই। সুমন আর পীযুষের আসতে দেরি হয়। এ নিয়ে জাফর ভাইয়ের কত খুনসুটি। ছোট বাচ্চার জনক শ্যামন ভাইও সূর্যাস্ত দেখতে পারেনি। কারণ তারা সন্তানকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। সমুদ্রপাড় থেকে মাইক্রোবাস যোগে বেশ দূরে যাই সূর্যাস্ত দেখার জন্য। অপেক্ষার পালা শেষ করে দেখতে পাই সূর্যাস্ত। এ সময় ছবি তোলার বেশ প্রতিযোগিতা চলে আমাদের মাঝে।
সূর্যাস্ত দেখার পর চলে আসি সমুদ্রপাড়ে। রওনকের আবদার পূরণে ব্যস্ত হয় কামরুল। রওনককে ঘোড়ার পিঠে চড়িয়ে বিভিন্ন পোজে ছবি তোলা, ফুসকা খাওয়া। আর কিটকট চেয়ারে বসে সমুদ্রপানে চেয়ে ঢেউয়ের খেলা দেখতে ভালো লাগে। এরই মধ্যে আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসে জাফর আহমেদ ভাইয়ের আসল চেহারা। বন্ধুপাগল মানুষটি সমুদ্রপাড়ে আমাদের মাতিয়ে তোলে। একের পর এক বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় গান গেয়ে। মাঝেমধ্যে নাটকের জনপ্রিয় সংলাপ হুবহু দেন। হাসতে-হাসতে আমরা সময় পার করি। এরপর রাতের খাবার খেয়ে রুমে চলে আসি। ঘুমিয়ে কেটে দেই সেই রাত।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠি সূর্যোদয় দেখার জন্য। সূর্যোদয় দেখার পর সকালের নাস্তা করি। নাস্তা শেষে আবার একটু বিশ্রাম নিয়ে বেরিয়ে পড়ি ঘুরতে। চলে যাই সমুদ্রসৈকতের পশ্চিম প্রান্তে জেলে পল্লিতে। এখানে প্রচুর জেলেদের বসবাস। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে চলে মূলত শুঁটকি তৈরির কাজ। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে এনে সৈকতেই শুঁটকি তৈরি করেন জেলেরা। কম দামে ভালো মানের শুঁটকিও কিনতে পাওয়া যায় এখানে। পরে যাই গঙ্গামতির জঙ্গলে। সমুদ্রসৈকত শেষ হয়েছে পূর্বদিকে গঙ্গামতির খালে। এখান থেকেই শুরু হয়েছে গঙ্গামতির জঙ্গল। অনেকে একে গজমতির জঙ্গলও বলে থাকেন। নানান রকম বৃক্ষরাজি ছাড়াও এ জঙ্গলে আছে বিভিন্ন রকম পাখি, বনমোরগ, বানর ইত্যাদি।
সমুদ্রপাড়ের হোটেলে দুপুরের খাবার খাই। এরপর রাস্তা ধরেই হাঁটতে থাকি। রাস্তার দু’ধারেই সারি-সারি অনেক আবাসিক হোটেল। এরপরও হোটেলে থাকা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় ভ্রমণপিপাসুদের। হেঁটেই গেলাম ঝাউবন দেখতে। গাছের সাথে মিতালী হলো। স্মৃতি ধরে রাখতে অনেক ছবিও তোলা হলো। গাছ ধরে মাঝেমধ্যে জাফর ভাইয়ের রোমান্টিক গানের দৃশ্য খুব উপভোগ করলাম। সন্ধ্যায় ফিরে এলাম সমুদ্রপাড়ে। দীর্ঘসময় ধরে আড্ডা দিলাম। সিরিয়ালে অপেক্ষা করে খেলাম কোরাল মাছের বারবিকিউ, কাঁকড়া আর চিংড়ির ফ্রাই। এরপর রাতের খাবার খেয়ে রুমে চলে যাই।
সকালে উঠেই বাসে করে রওনা দেই পটুয়াখালী। বন্ধুপাগল জাফর আহমেদ ভাইয়ের বাসায়। তার বাসায় এসে আবারও অবাক হই। পরিবারের সবাই বেশ আন্তরিক। ভাবি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। ছেলে-মেয়ে ২ জনই অনার্স পড়ে। সুখী পরিবার। জাফর ভাই হাসতে হাসতে জানান, বিয়ের পর ভাবিকে প্রথম দেখেন সিনেমা হলে ছবি দেখতে এনে। তার আগে ভাবিকে দেখেননি। তার বাসার ছাদে গিয়ে আমরা সবাই গাছ থেকে বরই তুলে খেয়েছি। এর ফাঁকে জাফর ভাই আমাদের সঙ্গে নিয়ে পটুয়াখালী শহরের যান। শহরের অলি-গলি ঘুরে দেখান। প্রেস ক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেই। সেখান থেকে তার দোকানে যাই। পরে বাসায় এসে বেশ হই-হুল্লোড় করে দুপুরের খাবার খাই।
> আরও পড়ুন- উপরে নীল আকাশ নিচে নীল সমুদ্র
একটু বিশ্রাম নিয়েই চলে যাই লঞ্চঘাটে। লঞ্চ ছেড়ে দেওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আমাদের সাথে আড্ডা দেন জাফর ভাই। যখন বুকে বুক লাগিয়ে বিদায় নেই, তখন সবার চোখে অশ্রু জামাট বাঁধে। বিষাদে ভরে যায় মন। লঞ্চে বসে সবাই জাফর ভাইকে নিয়ে আলোচনায় মুখর হই। সাইরেন বাজিয়ে চলতে থাকে লঞ্চ। রাতের খাবারের পর বারান্দার পাশেই সুমন আর পীযুষের কেবিনে আড্ডা জমায় কামরুলের বউ মাকসুদা ভাবি, আমার স্ত্রী শিরিনা মেহফুজ। কামরুল আর আমিও মাঝেমধ্যে ওই আড্ডায় যোগ দেই। ছোট সন্তানের কারণে শ্যামন ভাইয়ের স্ত্রী অনুপস্থিত ছিলেন আড্ডায়। গভীর রাতে ঘুমিয়ে পড়ি।
ভোর সাড়ে ৫টায় লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জে থেমেছিল। ওখানে নেমে যায় শ্যামন ভাইয়ের পরিবার। সেখান থেকে সদরঘাট। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম। সদরঘাটে নেমে একটা রিকশা নিয়ে বাসার উদ্দেশে রওনা দিলাম। ততক্ষণে পূর্বদিকে একটা লাল টুকটুকে সূর্য উঁকি দিলো।
উৎসর্গ: প্রয়াত সাংবাদিক জাফর আহমেদ ভাইকে...
এসইউ/এমকেএইচ