ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ভ্রমণ

বিশ্ব ভ্রমণে ইতিহাস গড়তে চান কাজী আসমা

ভ্রমণ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:১৩ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাভেলার্সদের মধ্য অন্যতম এক নাম কাজী আসমা আজমেরী। আসমা একজন রোটারিয়ান। পাশাপাশি ঘুরে বেড়াচ্ছেন দেশ থেকে দেশান্তরে। ইতোমধ্যে ৯৫টি দেশ ভ্রমণ করে ৯৬তম দেশ আজারবাইজানে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে ১০০ দেশ পূর্ণ করার উদ্দেশে দাগেস্তান, কাজাখাস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানে যাবেন। বাংলাদেশের পাসপোর্ট হওয়ার কারণে তার ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছে। তবু বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকার বাহক হিসেবেই ঘুরবেন বিশ্বময়।

asma

আসমা খুলনা শহরে বড় হয়েছেন। কাজী গোলাম কিবরিয়া ও কাজী সাহিদা আহমেদ দম্পতির একমাত্র মেয়ে তিনি। ছোটবেলায় মায়ের সাথে স্কুলে আসা-যাওয়া করতেন। একদিন স্কুল ছুটির পর তার মা নিতে এলেন না। অবশেষে তিনি একাই সাহস করে বাসার উদ্দেশে হাঁটা শুরু করেন। হাঁটছেন আর তাকিয়ে দেখছেন আকাশটাকে। আকাশ দেখে তার মনে হলো, সে আকাশের শেষ সীমানা দেখবে। কিন্তু আকাশের শেষ সীমানা আর দেখতে পাওয়া যায় না। সেদিন তিনি বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হেঁটেছিলেন। পরে এলাকাবাসী তাকে ধরে নিয়ে বাসায় পৌঁছে দেন।

আসমা বড় ইকবালনগর গার্লস হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং খুলনা মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে স্নাতক এবং এমবিএ করেন। আসমা থাকেন অস্ট্রেলিয়ার পার্থে। সেখান থেকে সারা দুনিয়া ঘুরে লাটাই-সুঁতার টানে ফিরে আসেন বাংলাদেশে। আবার পাখির মতো উড়াল দেন পরবর্তী না দেখা দেশে।

asma

শুধু জনপ্রিয়তার জন্য নয়, আসমা দেশ ভ্রমণ করেন নিজের শখে। শখের বশে ভ্রমণ শুরু করলেও এখন অনুভব করেন, তিনি ভ্রমণের মাধ্যমে নিজ দেশকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে পারছেন। সেটা তাকে বেশ আনন্দ দেয়। তার ইচ্ছে ২০১৮ সালের মধ্যে ১০০ দেশ ভ্রমণ পূর্ণ করবেন। ভ্রমণ বিশ্বে বাংলাদেশি হিসেবে ইতিহাস গড়তে চান তিনি।

asma

কাজী আসমা আজমারী বলেন, ‘আমি ইবনে বতুতা, ঠাকুরমার ঝুলি, তেপান্তরের রাজ্যকন্যার গল্প শুনে শৈশবে কল্পনা করতাম। কিন্তু তারপর থেকে তাদের আর ছেড়ে যেতে পারিনি। তাই স্বাবলম্বী হওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম।’

asma

উল্লেখ্য, তিনি ২০০৯ সালে ভারত, নেপাল, ভুটান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং ভ্রমণ করেন। ২০১০ সালে কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম, ব্রুনেই, চীন, ম্যাকাউ, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, তুরস্ক, মিশর, মরক্কো, সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ করেন। ২০১১ সালে স্কটল্যান্ড, ওয়েলস, স্পেন, জার্মানি, পর্তুগাল, চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভাকিয়া, মিয়ানমার, দক্ষিণ কোরিয়া, উত্তর কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া ও জাপান ভ্রমণ করেন। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, নিউজিল্যান্ড, কুক দ্বীপ, টঙ্গা ঘুরে আসেন। ২০১৩ সালে নিউ ক্যালেডোনিয়া, তাহিতি, সলোমন দ্বীপ, নিউ, কিরিবাটি, তাইওয়ান, ভানুয়াতু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট ঘুরেছেন।

asma

২০১৪ সালে মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, এলসালভাডর, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, কোস্টারিকা, পানামা, কলম্বিয়া, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া, পেরু, ইকুয়েডর ঘুরেছেন। ২০১৫ সালে পোর্ট রিকা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, হাইতি, বেলিজ, জ্যামাইকা, বাহামা, আরুবা ভ্রমণ করেন। ২০১৬ সালে ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, মন্টিনিগ্রো, কোসোভো, আবলানিয়া, ম্যাসেডোনিয়া, বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, মোলদাভিয়া, পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, সুইডেন, ডেনমার্ক, ইতালি, হাঙ্গেরি, সার্বিয়া, নরওয়ে, কুয়েত ঘুরেছেন। ২০১৭ সালে কিউবা, সামোয়া, কাতার ঘুরেছেন। ২০১৮ সালে ফিলিপাইন, মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া, কানাডা, জর্জিয়া, বেলারুশের পর এখন আজারবাইজান অবস্থান করছেন।

এসইউ/জেআইএম

আরও পড়ুন