শহরের গ্রিনরুম কলকাতায়
কলকাতা শহর থেকে বিমানবন্দর খানিকটা দূরে। উবারে আমরা যাচ্ছি বড় বাজারে। সেখানে আগে থেকেই বুকিং দেওয়া হোটেলে উঠলাম। রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে পড়লাম কলকাতা শহর দেখতে।
পশ্চিমবঙ্গের এই শহরের গল্প কতোই না শুনেছি। দেখা হলো এবারই প্রথম। ক্লান্ত শরীরে প্রথম দিন কেটে গেল হোটেলের আশেপাশেই।
আরও পড়ুন- বিমানে বাংলাদেশ থেকে কলকাতা দিল্লি
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল
হোটেলের পাশেই সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন। পাঁচ টাকার টিকিট নিয়ে মেট্রোতে উঠে পৌঁছে গেলাম ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের কাছের একটি স্টেশনে। কাছেই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। তাই হেঁটেই রওনা দিলাম। পথে দেখা মিলল কলকাতার একুশে উদ্যান। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও বাংলা ভাষা আন্দোলনের অংশ হিসেবে এখানে রয়েছে কয়েকটি ভাস্কর্য। টিকিট নিয়ে ঢুকে গেলাম ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে। জানা গেল, এটি রানি ভিক্টোরিয়ার একটি স্মৃতিসৌধ।
ঘাট বাঁধানো পুকুর, সারি সারি গাছ, সবুজ মাঠের মাঝে বড় অট্টালিকা। এ নিয়েই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। সময়ের অভাবে ভেতরটা ঘুরে দেখা হয়নি। তবে বাইরে থেকে যা দেখা পেলাম তা কিন্তু কম নয়। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের পাশেই গড়ের মাঠ দেখে চলে গেলাম নিউমার্কেট।
আরও পড়ুন- বরফের পাহাড়ঘেরা সোলাং ভ্যালি
নিউমার্কেট
ভারত ঘুরে পর্যটকরা নাকি কলকাতায় আসে কেনাকেটা করতে। বাংলাদেশ থেকেই প্রতিদিন অনেক মানুষ কলকাতায় কেনাকাটা করতে যান। তারই প্রমাণ পেলাম কলকাতা নিউ মার্কেটে। ছোট ছোট দোকানের মাঝে সরু পথ। ক্রেতাদের বেশির ভাগই নারী। চারদিকে হরেক রকম পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। অবস্থা ঢাকার নিউমার্কেটের মতো হলেও কলকাতার নিউমার্কেটের পরিসরটা অনেক বড়। নিউমার্কেটের চারপাশে ছোট ছোট খাবার দোকান। কেনাকাটার ফাঁকে ক্রেতাদের ভিড় সেখানেও। আমরাও কিছু কেনাকাটা করে নিয়ে ফিরে এলাম হোটেলে।
সন্ধ্যার ফ্লাইটে ফিরে এলাম ঢাকা। শেষ হলো ৭ দিনের ভারত ভ্রমণ।
এএ/এসইউ/জেআইএম