টানা ছুটিতে সরগরম রাঙ্গামাটি
বছরের এ সময়ে পর্যটন নগরী রাঙ্গামাটিতে তেমন একটা পর্যটকদের দেখা মেলে না। কিন্তু সাপ্তাহিক ছুটিসহ বৌদ্ধ পূর্ণিমা, মে দিবস ও শবে বরাতের কারণে টানা ছুটিতে পর্যটন শহর রাঙ্গামাটি পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে দেখা গেছে, পর্যটকদের আনাগোনায় সরগরম হয়ে উঠেছে এ নগরী। পর্যটন মোটেলসহ বিভিন্ন হোটেলে অগ্রিম বুকিংও রয়েছে।
সাধারণত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়কে পর্যটন মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। এ সময় প্রচুর পর্যটক দেশের দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ করেন। তবে এবার ঈদের আগে টানা ছুটির কারণে পর্যটকরা রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনে আসছেন।
নারায়ণগঞ্জ থেকে রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসা লিপি বড়ুয়া বলেন, ‘আমি সরকারি চাকরি করি। ঈদের আগেই প্রায় সপ্তাহব্যাপী ছুটি পেয়েছি। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে রাঙ্গামাটির অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে এসেছি। ভাবছি বৌদ্ধ পূর্ণিমাটা এবার রাজবন বিহারে করবো।’
চট্টগ্রাম থেকে আসা ফেরদৌস আরা জাহান বলেন, ‘আমরা দু’জনই চাকরি করি। তাই বেড়ানোর তেমন একটা সময় পাই না। এবার বিভিন্ন কারণে প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ পেয়েছি। তাই স্বামী, সন্তান ও শাশুড়িকে নিয়ে বেড়াতে এসেছি।’
হোটেল হিল পার্কের ব্যবস্থাপক স্বপন শীল বলেন, ‘বছরের এ সময়টাতে রাঙ্গামাটিতে তেমন পর্যটক থাকে না। এবার টানা বন্ধ পাওয়ায় পর্যটকরা আসছেন। ইতোমধ্যে প্রায় রুম বুকড হয়ে গেছে। আশা করি আর কয়েকদিনে শতভাগ বুকড হবে।’
বোট ঘাট ইজারাদার রমজান আলী বলেন, ‘রাঙ্গামাটিতে হঠাৎ পর্যটক আসা শুরু করেছে। আমাদের সব ধরনের বোট প্রস্তুত আছে। আমরা পর্যটকদের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দেখাতে প্রস্তুত।’
রাঙ্গামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, ‘এই ছুটিতে অনেক পর্যটকের দেখা মিলবে। পর্যটকদের সার্বিক সেবা দিতে পর্যটন কর্পোরেশন প্রস্তুত।’
এসইউ/জেআইএম