ঘুরে আসুন বরফের দেশ মানালি
যারা বরফ ভালবাসেন তাদের জন্য অসম্ভব সুন্দর একটি জায়গা মানালি। আমার মত যারা প্রথম বিদেশ ভ্রমণ করার চিন্তা করছেন তারা বেশ দুশ্চিন্তাই থাকেন কেমন খরচ হবে, ট্যুর প্ল্যান কিভাবে করবো, নিরাপত্তার ইস্যু ইত্যাদি।
এসব কিছু ঠিক করে অবশেষে কলকাতা থেকে ট্রেনে দিল্লি পৌঁছালাম বিকেলে। রাতেই দিল্লি কাশ্মিরি গেট থেকে বাসে মানালির উদ্দেশ্যে যাত্রা।
মানালির মল রোডে পৌঁছলাম সকাল ৯টার দিকে। এক নজর চারদিক তাকিয়ে দেখে নিলাম প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দের্যে সেজেছে। মানালি নেমেই দেখেশুনে হোটেল নিয়ে নিলাম। হোটেল স্নো-ভিউতে ১৫০০ রুপি প্রতি রাত। এখানে ৪০০-৫০০ রুপি থেকে ২০০০ রুপির মধ্যে হোটেল পাওয়া যায়। ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা শেষে ট্যাক্সি নিয়ে রওনা দিলাম সোলাং ভ্যালির উদ্দেশ্যে।
সোলাং ভ্যালি সমতল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮৪০০ ফিট উপরে। পুরো পবর্তময় জুড়ে শুধু বরফের ছড়াছড়ি, বড় বড় পাইন গাছগুলো বরফের মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। সোলাং ভ্যালির আইস পয়েন্টে আপনি চাইলে আইস স্কি, প্যারগ্লিডিং করতে পারেন। চাইলে ক্যাবল কারেও ঘুরতে পারেন।
যারা ডিসেম্বর জানুয়ারি ফেব্রুয়ারিতে মানালি যাবেন তারা রোথাং পাস যেতে পারবেন না। এ সময় অতিরিক্ত বরফের কারণে রোথাং পাস বন্ধ থাকে। তবে চাইলে রোথাং পাসের স্বাদ নিতে পারেন হামতা পাসে। যদিও মানালি থেকে হামতা পাস যাওয়ার রাস্তা খুব একটা ভালো না। কিন্তু এতদূর পর্যন্ত এসে এরকম স্বর্গীয় সৌন্দর্য মিস করার কোনো মানেই হয় না।
দ্বিতীয় দিন রওনা হলাম হামতা পাসের উদ্দেশ্যে। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৪,২০০ ফিট উপরে।
যেদিকে তাকাই শুধু বরফ আর বরফ। মনে হচ্ছিল- আইসক্রিমের রাজ্য দেখছি। কিছুটা সময় নিয়ে চারপাশটা দেখছিলাম আর ভাবছিলাম- একি সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট সৌন্দর্য দেখছি। সেই সৌন্দর্যের ব্যাখ্যা কি করে করবো, সেই জানা নেই।
মানালিতে সোলাং ভ্যালি, হামতা পাস, রোথাং পাস ছাড়াও হাড়িম্বা মন্দির, ক্লাব হাউজ, হিম ভ্যালি, বিয়াস নদী ঘুরে আসতে পারেন।
কিভাবে ভাবেন-
ঢাকা থেকে কলকাতায় বিমানে, বাসে ও ট্রেনে যাওয়া যায়। এরপর কলকাতা থেকে দিল্লি যেতে পারেন বিমান বা ট্রেনে। বাস বা জিপে যেতে পারেন দিল্লি থেকে মানালি।
এএ/আরআইপি