কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ভিড়
রোববার শেষ বিকেলে শীতের হালকা কুয়াশায় পশ্চিমাকাশে ডুবে গেছে সূর্য। ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে বিদায় নিয়েছে ২০১৭ সাল। ২০১৮ সালকে স্বাগত জানাতে পালন করা হয় থার্টি ফার্স্ট নাইট। রাতটি উদযাপন উপলক্ষে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। খালি নেই হোটেল-মোটেল-কটেজের কক্ষ। পর্যটকদের আতিথেয়তায় ব্যস্ত সময় কাটায় পর্যটন ব্যবসায়ী আর ট্যুরিস্ট ও নৌ-পুলিশ।
প্রতিবছর শীতের আগমনে পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। বিজয় দিবস, বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করতে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ছুটে আসেন এখানে।
সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখে বিমোহিত পর্যটকরা। ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উপচে পড়া ভিড়। হোটেল-মোটেল-কটেজের কক্ষ খালি না পেয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে সাত-আট কিলোমিটার দূরের আবাসিক হোটেল বা বাসা-বাড়িতে। আর এ সুযোগে অনেকেই হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা। অনেকে আবার রাত কাটিয়েছেন ছাতার নিচে। তবে নিরাপত্তা আর আতিথেতায় মুগ্ধ পর্যটকরা। এবার অাগত পর্যটকদের বিনোদনে যুক্ত হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার একর আয়তন নিয়ে বঙ্গোপসাগরের অথৈ জলে জেগে ওঠা চর বিজয় এবং সুন্দরবনে নৌ-ভ্রমণ।
কুয়াকাটা আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, নতুন বছর উপলক্ষে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। আবাসিক হোটেলগুলোতে কোনো কক্ষ খালি নেই।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম বলেন, দর্শনীয় স্থানসহ পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি/এসইউ/পিআর