শীতে ভ্রমণপিপাসুর জন্য জ্যোৎস্নাবাড়ি
চারিদিকে শুনশান নিরবতা। পাহাড়ি বন-জঙ্গল ঘেরা উপত্যকায় ছোট্ট কুটির। যেখানে নেই কোন আলিশান প্রাসাদ। আছে শুধু পাহাড়ের উঁচুতে সৌন্দর্য আর প্রকৃতির অবারিত ছোঁয়া। যেখানে রয়েছে অবারিত শান্তির অবগাহন। বলছিলাম খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার অদূরে পাহাড় ঘেরা বৈচিত্র্যময় ‘জ্যোৎস্নাবাড়ি’র কথা। ভ্রমণপিপাসুর আরেক ঠিকানা হতে পারে এ বাড়ি।
উপজেলা সদর থেকে মিনিট বিশেকের পথ শেষে আপনি যখন পৌঁছবেন; তখন হারিয়ে যাবেন প্রকৃতির মাঝে। পাকা সড়ক ছাড়িয়ে উঁচু-নিচু পথ ধরে পৌঁছবেন জ্যোৎস্নাবাড়ির আঙিনায়। ঘাসের বুকে আলোর পরি চাঁদর বিছিয়ে রেখেছে আপনাকে স্বাগতম জানাতে।
সৌর বিদ্যুতের আলোয় রাত কাটানো আর পাহাড়ের ঢালু থেকে তুলে আনা কুয়ার জল আপনার তৃষ্ণা মেটাবে। সারিবদ্ধ গাছের ছায়া, শরীর জুড়ানো শীতল বাতাস, চেনা-অচেনা পাখির গান ভ্রমণকে করবে সমৃদ্ধ। আকাশজুড়ে দেখবেন তারার মেলা।
জ্যোৎস্নাবাড়ি শুধু পর্যটন কেন্দ্র নয়, পারিবারিক আবহে বিনোদনের অন্যরকম অনুষঙ্গ। শীতের শুরুতেই ভ্রমণের নতুন ঠিকানা হতে পারে এটি। এখানে খুঁজে পাবেন ভ্রমণের ভিন্নতা। তাই শীতের শুরুতেই ঘুরে আসতে পারেন ছোট্ট এই কুটির থেকে।
ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে মাটিরাঙ্গায় নামতে হবে। সেখান থেকে সিএনজি বা মোটরসাইকেলে যেতে হবে উপজেলা সদর থেকে ১১ কিলোমিটার উত্তরে। প্রকৃতির সঙ্গে রাত কাটানো এবং তিন বেলা খাওয়াসহ জনপ্রতি খরচ হবে প্রায় ১ হাজার ৫শ’ টাকা।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এসইউ/জেআইএম