মন কাড়ে দার্জিলিংয়ের সূর্যোদয়
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি দার্জিলিং। মানুষ আর প্রকৃতি মিলেমিশে যেন একাকার। এখানকার পাহাড়ের গায়ে গায়ে গড়ে উঠেছে জনপদ। চারদিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। হিমালয়ের কোলে অসাধারণ সৌন্দর্যের মেঘের দেশ পাহাড়কন্যা দার্জিলিং। দার্জিলিং থেকে ফিরে লিখেছেন রবিউল হাসান-
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা দার্জিলিং শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান টাইগার হিল। সূর্যোদয় দেখতে হাজারও পর্যটক ভোর ৪টা থেকে ছুটে আসতে থাকে টাইগার হিলের দিকে। টাইগার হিল ১০ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত। দার্জিলিং শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা চোখে পড়ার মতো।
এখানে সূর্যের উদীয়মান দৃশ্য প্রাণভরে অবলোকন করেন পর্যটকরা। প্রচণ্ড ঠান্ডা ও শীতের মধ্যে ওই অপরূপ দৃশ্য মন কারে সবার। পর্যটকদের সূর্যোদয় দেখাটা ভাগ্যের ব্যাপার। কারণ কখনও মেঘ আবার কখনও কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে। পূর্বদিকে আস্তে আস্তে লাল আভা দেখা যায়। মুহূর্তেই লাল আভার পরিমাণ বাড়তে থাকে, সূর্যোদয় হতেই সব বয়সের মানুষ আনন্দ-উল্লাস শুরু করেন।
প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য যেন তখনকার পরিবেশকে আরো মনোমুগ্ধকর করে তোলে। টাইগার হিলের চূড়ার মধ্যস্থলে তিন তলা একটি ভবনের কাজ চলছে। এদিকে পাহাড়ের চূড়ায় উদীয়মান সূর্যদেবকে প্রণাম জানাতে শুরু করেন অসংখ্য পূজারি।
দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে টাইগার হিল থেকে মাত্র ৩০ রুপিতে খুব কাছেই দেখা যাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা, হিমালয়, সিকিম, নেপাল সীমান্ত ও অন্যান্য পাহাড়। পাহাড়ে হাঁটা যথেষ্ট কষ্টকর। তারপরও সূর্যোদয় দেখার জন্য সবাইকে হেঁটে চূড়ায় উঠতে হয়।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে ঘুরতে যাওয়া জাহিদ ও আশরাফ বলেন, ‘দার্জিলিংয়ের টাইগার হিল এসেছি শুধু সূর্যোদয় দেখতে। সূর্যোদয় দেখে মুগ্ধ হয়েছি। সময় করে প্রতিবছর একবার হলেও চেষ্টা করব।’
যশোর থেকে গিয়েছিলেন আশরাফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ ও টাইগার হিলের সূর্যোদয় দেখতে এবারসহ তিন বার এসেছি। অনেক সুন্দর পরিবেশ।’
লেখক : জেলা প্রতিনিধি, লালমনিরহাট।
এসইউ/জেআইএম