সাধারণ জ্ঞান : বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস- ৩য় পর্ব
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস হাজার বছরের। প্রাচীন কাল থেকেই বাংলা সাহিত্য উৎকর্ষতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে শুরুর দিকে যা সৃষ্টি হয়েছে, তা আজও স্মরণীয়। সেই স্মরণীয় বিষয় নিয়েই আজকের আয়োজনের ৩য় পর্ব-
১. প্রশ্ন : বাংলার প্রথম মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের নাম কী?
উত্তর : শ্রীরামপুর মিশন।
২. প্রশ্ন : কত সালে ‘শ্রীরামপুর মিশন’ প্রতিষ্ঠিত হয়?
উঃ ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে।
৩. প্রশ্ন : প্রথম কবে মুদ্রণযন্ত্র ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : ১৮০১ সালে।
৪. প্রশ্ন : বাংলা ছাড়া ব্রাহ্মী লিপি থেকে আর কোন লিপির উদ্ভব ঘটেছে?
উত্তর : সিংহলী, শ্যামী, নবদ্বীপি, তিব্বতী ইত্যাদি।
৫. প্রশ্ন : বাংলা বর্ণমালা কোন সময়ে একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার লাভ করে?
উত্তর : খ্রিষ্টিয় দশম ও একাদশ শতাব্দীর মধ্যে।
৬. প্রশ্ন : ব্রাহ্মী লিপির বিবর্তনের ধারায় কোন বর্ণমালা থেকে বাংলা বর্ণমালার উৎপত্তি?
উত্তর : কুটিল বর্ণমালা থেকে।
৭. প্রশ্ন : কুটিল কোন অঞ্চলের বর্ণমালা?
উত্তর : পূর্ব ভারতীয় বর্ণমালা।
৮. প্রশ্ন : কোন কোন লিপির উপর বাংলা লিপির প্রভাব বিদ্যমান?
উত্তর : উড়িষ্যা মৈথিলি ও আসামী লিপির উপর।
৯. প্রশ্ন : বাংলা গদ্যের বিকাশে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে-
উত্তর : সাময়িকপত্র।
১০. প্রশ্ন : বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন কী?
উত্তর : চর্যাপদ।
১১. প্রশ্ন : চর্যাপদ রচনা করেন কারা?
উত্তর : বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ।
১২. প্রশ্ন : চর্যাপদ কোন যুগের নিদর্শন?
উত্তর : প্রাচীন যুগ।
১৩. প্রশ্ন : চর্যাপদের পুঁথি কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর : মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
১৪. প্রশ্ন : চর্যাপদের পুঁথি কখন আবিষ্কার হয়?
উত্তর : ১৯০৭ সালে।
১৫. প্রশ্ন : চর্যাপদের রচনাকাল কত?
উত্তর : সপ্তম-দ্বাদশ শতাব্দী।
১৬. প্রশ্ন : চর্যাপদ কোন ভাষায় রচিত?
উত্তর : বঙ্গকামরূপী ভাষায়।
১৭. প্রশ্ন : চর্যাপদ কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তর : নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থাগারে।
১৮. প্রশ্ন : টীকাকার মুনিদত্তের মতানুসারে চর্যাপদের নাম কী?
উত্তর : আশ্চর্য চর্যাচয়।
১৯. প্রশ্ন : নেপালে প্রাপ্ত পুঁথিতে পদগুলোর কী নাম দেয়া হয়েছে?
উত্তর : চর্যাচর্য বিনিশ্চয়।
২০. প্রশ্ন : চর্যাপদের ভাষাকে কে বাংলা ভাষা দাবি করেছেন?
উত্তর : অধ্যাপক সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যয়।
এসইউ/এবিএস