সাধারণ জ্ঞান : সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা- ১ম পর্ব
শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির মূলেই হচ্ছে পৃষ্ঠপোষকতা। পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে তা কখনো অর্থবহ হয়ে ওঠে না। প্রাচীন যুগ থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছেন বিভিন্ন জন। তাই বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকদের নিয়েই আজকের আয়োজনের ১ম পর্ব-
১. প্রশ্ন : বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন কী?
উত্তর : চর্যাপদ।
২. প্রশ্ন : চর্যাপদ কোন প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় পুনরুদ্ধার করা হয়েছে?
উত্তর : বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ।
৩. প্রশ্ন : মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে?
উত্তর : পাঠান সুলতানগণ।
৪. প্রশ্ন : মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যে কোন ধর্ম প্রচারকের প্রভাব অপরিসীম?
উত্তর : শ্রী চৈতন্যদেব।
৫. প্রশ্ন : কার অনুপ্রেরণায় ‘মহাভারতের অশ্বমেধ পর্ব’ অনুদিত হয়?
উত্তর : নাসিরউদ্দিন নসরৎ শাহের।
৬. প্রশ্ন : কার রাজত্বকালে ‘মনসামঙ্গল’ রচিত হয়?
উত্তর : হোসেন শাহের।
৭. প্রশ্ন : ‘চৈতন্য ভাগবত’ কার সময় রচিত হয়?
উত্তর : গিয়াসুদ্দীন মাহমুদ শাহের।
৮. প্রশ্ন : কার পৃষ্ঠপোষকতায় কৃত্তিবাস ‘রামায়ণে’র অনুবাদ করেন?
উত্তর : জালালুদ্দিন মুহম্মদ শাহের।
৯. প্রশ্ন : কবি বিদ্যাপতি ও শেখ কবির কার আদেশে বৈষ্ণবপদ কাব্য রচনা করেন?
উত্তর : নাসির উদ্দিন নসরৎ শাহের।
১০. প্রশ্ন : কার আদেশে ‘মনসামঙ্গল’ কাব্য রচনা করা হয়?
উত্তর : আলাউদ্দিন হুসেন শাহের।
১১. প্রশ্ন : বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য কোন শাসক?
উত্তর : আলাউদ্দিন হুসেন শাহ।
১২. প্রশ্ন : গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের পৃষ্ঠপোষকতায় কোন কাব্যটি রচিত?
উত্তর : ইউসূফ-জুলেখা।
১৩. প্রশ্ন : ‘ইউসূফ-জুলেখা’ কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর : শাহ মুহম্মদ সগীর।
১৪. প্রশ্ন : ‘নসীয়তনামা’ কার পৃষ্ঠপোষকতায় রচিত?
উত্তর : শ্রীসুধর্মের।
১৫. প্রশ্ন : কার আদেশে ‘সয়ফুল-মূলক’ রচিত হয়?
উত্তর : সৈয়দ মুসার আদেশে।
১৬. প্রশ্ন : কার আদেশে ‘সতীময়না’ কাব্য রচিত হয়?
উত্তর : লস্কর উজীর আশরাফ খানের।
১৭. প্রশ্ন : ‘সতীময়না’ কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর : মহাকবি আলাওল।
১৮. প্রশ্ন : কবি জৈনুদ্দিন কার সভাকবি ছিলেন?
উত্তর : গৌড়ের সুলতান ইউসুফ শাহের।
১৯. প্রশ্ন : ‘রসুল বিজয়’ কার অনুপ্রেরণায় রচিত হয়?
উত্তর : শামসুদ্দীন ইউসূফ শাহের।
২০. প্রশ্ন : ‘মহা বংশাবলী’ নামক সামাজিক ইতিহাস গ্রন্থের পৃষ্ঠপোষক কে?
উত্তর : সুলতান জালালউদ্দিন ফতেহ-ই-শাহ।
এসইউ/আরআইপি