ইলেক্ট্রিক স্কুটি কেনার আগে যেসব বিষয় জেনে নেবেন
অনেকেই পেট্রোল বা ডিজেল চালিত স্কুটির বদলে ইলেক্ট্রিক বাইক বা স্কুটি কেনার কথা ভাবেন। কেউ কেউ পেট্রোলের দামের কারণে এই স্কুটি নিতে চান। তাই এটি কেনার আগে কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
আসুন জেনে নিই যেসব বিষয় সম্পর্কে--
ব্যাটারির ক্ষমতা
ইলেক্ট্রিক স্কুটি বা বাইক ব্যাটারিচালিত। তাই মাথায় রাখতে হবে, ব্যাটারির ক্ষমতা কতদূর। একবার চার্জ করলে কতদূর যেতে পারবেন। ব্যাটারির কর্মক্ষমতা যদি কম হয়, তাহলে মাঝ রাস্তায় বিপদে পড়তে হবে। সুতরাং যত বড় ব্যাটারি; ততই আপনার জন্য ভালো।
দ্রুত চার্জ গ্রহণ
স্কুটির ব্যাটারি কত দ্রুত চার্জ হয়। তা নির্ভর করে মডেলের ওপর। এখন বেশিরভাগ ইলেক্ট্রিক স্কুটিতে ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধা আছে। তাড়া থাকলে ইলেক্ট্রিক স্কুটি নিয়ে বের হওয়ার ক্ষেত্রে ফিচারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্থানীয় গতির হার
ইলেক্ট্রিক বাইক বা স্কুটির মোটরের ক্ষমতা গতিতে প্রভাব ফেলে। তাই যে শহরে বাস করেন, তার যান চলাচলের হার অনুযায়ী মোটর ক্ষমতাসম্পন্ন স্কুটি বা বাইক বেছে নিতে পারেন। অল্প ব্যবহারের চিন্তা থাকলে কম গতির স্কুটিতে হয়ে যাবে। যদি তা দীর্ঘ পথ যেতে চান, তাহলে অবশ্যই উচ্চগতির ইলেক্ট্রিক বাইক বা স্কুটি নিতে হবে।
- আরও পড়ুন
- হিরোর ই-স্কুটারে ব্যাটারি খুলে চার্জ করতে পারবেন
- উচ্চতা অনুযায়ী কোন বাইক আপনার জন্য পারফেক্ট
চার্জিংয়ের ব্যবস্থা
এ গাড়ি বারবার চার্জ করতে হয়। তাই বাড়িতে চার্জিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তা ছাড়া পথে চার্জিংয়ের ব্যবস্থা আছে কি না, তা জেনে রাখতে হবে। না হলে মাঝ রাস্তায় বিপদে পড়তে হবে।
ফিচার সম্পর্কে ধারণা
গাড়ির বিল্ড কোয়ালিটি ও ব্রেক সিস্টেম ইত্যাদি ফিচার ভালো করে দেখে কেনা উচিত। সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ এবং ব্যাটারি পরিবর্তনের খরচ সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি। এমনকি কারা ভালো ওয়ারেন্টি এবং সার্ভিসিং দেয়, তা দেখে নিন। এ ছাড়া জিপিএস ট্র্যাকিং, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি আছে কি না, তা দেখে নেবেন।
বাইকের ওজন
কেনার সময় অবশ্যই বাইকের ওজন দেখে নেওয়া খুবই জরুরি। যদিও হালকা বাইক চালানোর পক্ষে সুবিধাজনক কিন্তু মজবুত, ভারী বাইক অভিজ্ঞতাকে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করবে। দীর্ঘ সফরের ক্ষেত্রেও তা অনেকটা আরামদায়ক হবে।
এসইউ/জিকেএস