ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

অবৈধভাবে ইন্টারনেট বন্ধ

আইএসপিএবির কমিটি ভেঙে দিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৫১ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশের ইন্টারনেট সংযোগদাতাদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) বর্তমান নির্বাহী কমিটির (ইসি) সদস্যদের পদত্যাগ করে কমিটি ভেঙে দিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সংগঠনের ‘সংস্কারবাদী’ সদস্যরা।

আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হকের কাছে সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের পক্ষে ২৫ সদস্যের সই করা একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে ৭টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট-সেবা বন্ধে সদস্যদের মতামত তোয়াক্কা না করে নির্বাহী কমিটি রাজনৈতিক অনুচরের ভূমিকা পালনের বিষয়টিও।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সুরে সুর মিলিয়ে গণমাধ্যমে লাগাতার মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারে অংশ নিয়ে আইএসপিএবির সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।

অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে, বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার নামে আর্থিক অনিয়ম, থানা ও উপজেলা আইএসপিদের স্বার্থ উপেক্ষা করা, ইজিএম ও ক্রয় কমিটি না করেই তহবিলের ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কার্যালয়ের জন্য ফ্ল্যাট কেনা এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ নজরুল ইসলাম বাবুকে দিয়ে প্রহসনমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরকার দলীয়দের নিয়ে কমিটি গঠন।

সংস্কারবাদীদের পক্ষে আইএসপিএবির সাবেক সহ-সভাপতি ও এডিএন টেলিকমের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) আজহারুল হক চৌধুরী বলেন, আইএসপিএবি অফিসে গিয়ে আমরা চিঠি দিয়ে এসেছি। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত চিঠির জবাব দিতে তারা সময় পাবে। এ সময়ের মধ্যে কোনো সাড়া না পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাধারণ আইএসপি ব্যবসায়ীদের পক্ষে চিঠিতে সই করেন আইসিসিসি কমিউনিকেশনস লিমিটেডের সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক, তাকিওনের মাহতাবুর রহমান, রেড ডাটার মঈনুদ্দিন আহমেদ, বিজয় অনলাইনের রিয়াদ মোহাম্মাদ, অ্যাকসেস টেলিকমের রিয়াজুল করিম, জেডএক্স অনলাইনের এস এম জুলফিকার হায়দার, ওয়ান স্কাই কমিউনিকেশনের রাশেদুর রহমান, বাংলানেট টেকনোলজির জোবায়ের আহমেদ হোসাইন, আইটিবেসের মীর মোশাররফ হোসাইন, নেটক্যাফের কাজী মো. মাহবুব, ঢাকা টেক আইটির আশরাফ উদ্দিন, ওয়াইড কমিউনিকেশনের আনোয়ার আহমেদ, গ্রামীণ সাইবার নেটের দেবব্রত সাহা, স্টারগেট কমিউনিকেশনের রাজেশ বসু, বিসিএল অনলাইন সার্ভিসের এ এম কামাল উদ্দিন আহমেদ, আইপি কমিউনিকেশনের মাজহারুল ইসলাম, ভূঁইয়া টেলিকমের গোলাম কিবরিয়া, প্যাট্রিয়ট টেকনোলজির কাজী জিল্লুর রহমান, সি সেলের শাহ ইকবাল, এসএসটিএন টেকনোলজির কাজী জোহেব, ইন্টারনেট ফ্যাক্টরির নূর হুদা তালুকদার, আইওএলের মো. জাকারিয়া, চিটাগাং ডেটা কমিউনিকেশনের শন গঞ্জালেস, ব্রিক সিস্টেমসের মো. শরিফুল ইসলাম, সার্ভার নেটের মো. নূর নবী, কারসান নেটের মো. সুজানুর রহমান, এওয়ান অনলাইনের মো. খবিরুল ইসলাম প্রমুখ।

চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকারের নির্দেশে তখন ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল। আমরা সেই নির্দেশ মানতে বাধ্য ছিলাম। আমার ঘাড়ে যদি মাথা তখন দুটি থাকতো, তাহলে সাহস করে সেবা চালু রাখতাম। ঘাড়ে মাথা একটা। সেটা সে সময়ের সরকার কেটে ফেললে জীবন থাকে না। সেজন্য চাপে পড়ে বন্ধ করা হয়েছিল।’

ক্রয় কমিটি না করে ১৪ কোটি টাকায় অফিসের জন্য ফ্ল্যাট কেনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মনগড়া, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। নিয়ম মেনে ওই টাকায় অফিস কেনা হয়েছে। এখন যারা এটা নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, তাদের অনেকেও সেই কমিটিতে ছিলেন। সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকও সেখানে ছিলেন। ক্রয় কমিটি না করে ১৪ কোটি টাকায় ফ্ল্যাট কিনলাম, এটা কী সম্ভব? এটার সপক্ষে সব ধরনের প্রমাণ আছে।’

পদত্যাগের আলটিমেটাম বিষয়ে ইমদাদুল হক বলেন, ‘তারা (সংস্কারপন্থী) ২৫ জন সদস্য। অথচ এ সংগঠনেতো ২ হাজার ৫০০ সদস্য। ২৫ জনের কথায় কমিটি ভাঙা সম্ভব নয়। এটা অবাস্তব দাবি।’

এএএইচ/এমআইএইচএস/এমএস