ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

৩০ শতাংশ স্মার্টফোন আসে অবৈধ পথে

প্রকাশিত: ০৪:৪০ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০১৬

বাংলাদেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৯৭ শতাংশ স্মার্টফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করেন। কিন্তু বেশিরভাগ মোবাইল অবৈধ পথে আমদানি হয়। চলতি অর্থবছর ৪ হাজার ৫ কোটি টাকার মোবাইল সেট আমদানি হয়। আমদানি শুল্ক ২৪ শতাংশ হারে ৯২১ কোটি টাকার রাজস্ব পায় সরকার। কিন্তু ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩ শতাংশ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২০ শতাংশ ও চলতি অর্থবছরে ৩০ শতাংশ মোবাইল হ্যান্ডসেট অবৈধ পথে আমদানি হয়। আমদানি ও শুল্ক বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশে মোবাইল ফোন আমদানিতে শুল্ক বিড়ম্বনায় রয়েছে স্থানীয় হ্যান্ডসেট কোম্পানিগুলো। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই অবৈধ পথে মোবাইল ফোন এসে মার্কেট সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে শুল্কদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়ছে। এসব সমস্যা থেকে উত্তরণে মোবাইল ফোন আমদানি শুল্ক কমানো হলে দেশে অবৈধভাবে মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি বন্ধ হয়ে হবে। এতে বছরে সরকার অতিরিক্ত ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব পাবে।

দু’বছর এ সুবিধা বহাল রাখলে দেশের সব মানুষ স্মার্টফোনের সুবিধা পাবেন বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ)।

সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক বাজেট আলোচনায় এমন দাবি করেন বিএমপিআইএর সভাপতি মো. রুহুল আলম আল মাহবুব। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও পরিবহন খাত সংশ্লিষ্ট সংগঠনের শীর্ষ প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

চলতি অর্থবছরে শুল্ক কম থাকলে ও বৈধ পথে আমদানি হলে সরকার প্রায় ১ হাজার ২শ’ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় হতো। আগামী অর্থবছরে শুল্ক ২৪ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করা হলে রাজস্ব ২০০ কোটি টাকা বেশি হবে। অবৈধ আমদানি ৫ শতাংশে নেমে আসবে।

রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, গত দু’বছর স্থানীয়ভাবে মোবাইল উৎপাদিত হবে এ কথা বলে আমদানি শুল্ক ২৪ শতাংশ করা হয়েছে। কিন্তু একটি হ্যান্ডসেটও উৎপাদিত হয়নি। ইতোমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েকটি সংস্থা অবৈধ হ্যান্ডসেট জব্দ করেছে। আমরা চাই আরো বেশি জব্দ করা ও শাস্তি দেয়া হোক।

আরএম/এসএইচএস/বিএ