আপনার ইন্টারনেট সার্চ হিস্ট্রি গোপন রাখবে ভিপিএন
সারাক্ষণ কোনো না কোনো কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। যখন যা কিছু জানার ইচ্ছা গুগলে বা অন্যান্য ব্রাউজারে সার্চ করে জেনে নিচ্ছেন। কিন্তু আপনার এই সার্চ হিস্ট্রি কিন্তু চলে যেতে পারে অন্য যে কারও হাতে। হ্যাকাররা আপনার সার্চ হিস্ট্রি বিক্রি করে দিতে পারে ডার্ক ওয়েবে। এতে বিপদে পড়তে পারেন যে কোনো সময়।
এজন্য অনেকেই ইনকগনিটো মোড ব্যবহার করেন। এটি ক্রোম ব্রাউজারে উপরে থ্রি লাইন ডটে ক্লিক করলেই ব্যবহার করা যায়। কিন্তু, সত্যিটা হল ইনকগনিটো মোডও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত নয়। এজন্য ভিপিএন ব্যবহার করতে পারেন। অনেকেই ভিপিএন সম্পর্কে জানেন। আবার অনেকে জানেন না।
ভিপিএন হচ্ছে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক। মূলত ওয়েবসাইট এবং আপনার আইপি অ্যাড্রেসের মাঝে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ আপনি যদি কোনো ওয়েবসাইটে ভিজিট করেন এবং ভিপিএন কানেক্ট থাকে, তাহলে আপনার ডাটার সোর্স হবে উক্ত ভিপিএন প্রোভাইডার। আপনার আইপি অ্যাড্রেস জানা যাবে না। ইন্টারনেটে প্রতিদিন প্রচুর জিনিস সার্চ করেন ইউজাররা। সেসব ওয়েবসাইটে আপনার ডাটা যাতে না যায়, তা নিশ্চিত করে ভিপিএন।
আরও পড়ুন
ভিপিএন ছাড়া সার্চ করলে খুব সহজেই ইউজারের আইপি অ্যাড্রেস জানতে পারে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এবং থার্ড পার্টি অ্যাপস। পাশাপাশি ইউজারের লোকেশনও খুব সহজে ট্র্যাক করা যেতে পারে। অন্যদিকে ভিপিএন ইউজারের ডাটা গোপন রাখতে সাহায্য করে। আপনার লোকেশন, আইপি অ্যাড্রেস নিরাপদ রাখে। যেহেতু ইউজারের লোকেশন ওয়েবসাইটের কাছে পৌঁছায় না। তাই সেই ওয়েবসাইটের অ্যাক্সেস সীমিত থাকলেও, সেখানে ভিজিট করা যায়।
দেখে নিন ভিপিএন ব্যবহার করলে কী কী সুবিধা পাবেন-
ডাটা এনক্রিপশন: ইউজারের ডাটার সোর্স এনক্রিপ্টেড থাকে।
নিরাপদ ডাটা ট্রান্সফার: সাধারণ নেটওয়ার্কের তুলনায় ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক নিরাপদ ডাটা ট্রান্সফার করতে সাহায্য করে।
ওয়েবসাইটের সীমিত অ্যাক্সেস: লোকেশন এবং ডাটা সোর্স গোপন থাকায় কোনো ওয়েবসাইটে সীমিত অ্যাক্সেস থাকলেও, তা ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন
কেএসকে/এএসএম