রাতে ফ্রিজ বন্ধ রাখলে বিদ্যুৎ বিল কম হয়?
অনেকেই মনে করেন রাতে ফ্রিজ বন্ধ রাখলে বিদ্যুৎ বিল কম আসে। এই ব্যাপারটি কতটা সত্যি তা জানার আগে বুঝতে হবে রেফ্রিজারেটর এভাবে বন্ধ রাখাটা ভালো নাকি খারাপ।
রেফ্রিজারেটর এখন প্রতিটি বাড়িতেই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। ফল, দুধ, শাকসবজিসহ অনেক খাদ্যদ্রব্য সতেজ রাখতে রেফ্রিজারেটর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেকের বাড়িতে ফ্রিজ একটানা চলে, আবার কেউ কেউ ১-২ ঘণ্টার জন্য তা বন্ধ করে রাখেন।
আসলে রেফ্রিজারেটর তৈরির কোম্পানিগুলো কখনোই জানায় না যে কতক্ষণ একটানা ফ্রিজ চালানো যায়। তাই ফ্রিজ কয়েক ঘণ্টা বন্ধ রাখলে কোনো ক্ষতি হবে কি না এই প্রশ্ন অনেকের মনে আসতেই পারে।
যতক্ষণ রেফ্রিজারেটরের মধ্যে দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হতে থাকে, ততক্ষণ এর কম্প্রেসার কাজ করতে থাকে এবং ভিতরে শীতল করার প্রক্রিয়াও চলতে থাকে। ফ্রিজ এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে সুইচ অফ করার পরেও এটি অনেকক্ষণ ঠান্ডা থাকে এবং খাবার নষ্ট হয় না।
রেফ্রিজারেটরের কাজ হলো খাবারকে ২৪ ঘণ্টা তাজা রাখা, তাই কোম্পানিগুলো দিনে ২৪ ঘণ্টা একটানা চালানোর জন্যই ফ্রিজ ডিজাইন করে। এমতাবস্থায় অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে ফ্রিজ ২৪ ঘণ্টা চালু না রেখে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য কি ১-২ ঘণ্টা বন্ধ রাখা যায়? উত্তর হলো যায় না।
কারণ, একটি রেফ্রিজারেটর একটি ইলেকট্রনিক কুলিং ডিভাইস যা ক্রমাগত চালানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। একটানা ২৪ ঘণ্টা ফ্রিজ চালানোতে কোনো সমস্যা নেই। সারা বছর ফ্রিজের সুইচ অফ না করলেও সমস্যা নেই। তবে এটি পরিষ্কার করার জন্য অবশ্যই এটি বন্ধ করতে হবে।
যদি ১-২ ঘণ্টার জন্য ফ্রিজ বন্ধ করে আবার চালু করা হয়, ফ্রিজটি সঙ্গে সঙ্গে শীতল হাওয়া সরবরাহ করতে পারবে না। এমন পরিস্থিতিতে ভিতরে রাখা খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফ্রিজ ১-২ ঘণ্টা বন্ধ রেখে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার কোনো যুক্তি নেই। এমনটা হলে কোম্পানিগুলোই তার গ্রাহকদের এই উপায় জানাতেন।
আরও পড়ুন
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান টাইমস, নিউজ১৮
কেএসকে/জিকেএস