ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

২৮ বছর বয়সে এমপি হয়েছি, ৩৩ বছরে প্রতিমন্ত্রী: পলক

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:১৫ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ঝুঁকি নেওয়ার সাহস ও অনুপ্রেরণা থাকলেই স্মার্ট উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। নিজের জীবনের সাফল্যের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে তিনি তরুণ-যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘চলনবিলের প্রত্যন্ত গ্রামে আমার জন্ম। অনুপ্রেরণা আমার মা, পরিবার। আমার বয়স যখন ২৫ বছর, তখন আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছি। ২৫ বছর ৬ মাস বয়সে আমি মনোনয়ন পেয়েও গেছি। অথচ ২৫ বছর না হলে এমপি পদে দাঁড়ানোই যায় না। আমি তখন এটা নিয়ে ভাবিনি যে, এত অল্প বয়সে আমি মনোনয়ন চাইবো? আমাকে মনোনয়ন দেবে কি না, না দিলেই বা কী হবে—এগুলো নিয়ে ভাবিনি। লক্ষ্য স্থির করে আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে গেছি, কাজ করেছি। ২৮ বছর বয়সে আমি এমপি হয়েছে, ৩৩ বছরে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পেয়েছি।’

বুধবার (২৭ সেপ্টম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরাটন হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে আয়োজিত ‘জেলা জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গ্রামীণফোন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

পলক বলেন, ‘দেখুন, এমন একটা মন্ত্রণালয়ে আমি দায়িত্ব পেয়েছি, যে বিষয়ে আমার কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতাও নেই, পূর্ব-অভিজ্ঞতা নেই। শুধু আমার জীবনের অভিজ্ঞতা ও সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে গেছি। জয় ভাইয়ের নির্দেশনায় বাস্তবায়নের জন্য যখন, যাকে যে কাজে বেস্ট মনে করেছি, তাকে কাজে লাগেয়েছি। আমি শুধু টিম লিড করে যাচ্ছি।’

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মেধাবী, আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে বলেই যে আমি পারবো বা পেরেছি সেটা নয়। স্মার্ট উদ্যোক্তা হতেও তেমনি সাহস, অনুপ্রেরণা আর নিজেকে প্রস্ফুটিত করার অটুট মনোবল থাকতে হবে। তাহলে সাফল্য ধরা দেবে।’

তিনি আরও বলেন, সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ৫০ বিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ খাত গড়ে উঠবে বলে আমরা আশাবাদী। দেশেই আজকের ৫০টি স্টার্টআপ মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হয়ে গড়ে উঠবে। গ্রামীণফোন স্টার্টআপ এক্সিলেটরের নবম বছরে জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তাদের আগামী বছর জুনে আইডিয়া প্রকল্প থেকে ১০ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। এছাড়া স্টার্টআপ বাংলাদেশ থেকে প্রতি রাউন্ডে পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগ করা হবে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমানের সঞ্চালনায় আলোচেনা শুরুর আগে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও সামি আহমেদ উদ্যোক্তাদের ওপর একটা উপস্থাপনা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা শীর্ষক রিজিওনাল ডিজাইন বুটক্যাম্প একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের উদ্ভাবনী আইডিয়াগুলো বাস্তবসম্মত এবং বাজারমুখী দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলে ধরতে পারবেন—এমন একটি উদ্যোগ গঠনে জিপি এক্সেলারেটরের সঙ্গে অংশীদারত্ব করতে পেরে স্টার্টআপ বাংলাদেশ আনন্দিত।

ইয়াসির আজমান আরও বলেন, বুটক্যাম্পগুলো শুধু প্রশিক্ষণ ও পরামর্শই দেবে না, উদ্যোক্তাদের হাতে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ তুলে দেবে। যেগুলো কাজে লাগিয়ে তারা অসাধ্য সাধন করতে পারবেন। আমরা বিশ্বাস করি যে, উদ্যোগটি বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকো-সিস্টেমে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ফিন্যান্স, অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড রেভিনিউ ডিভিশনের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান, স্মার্টআপ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মোহাম্মাদ আশিকুর রহমান, আইডিএলসি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রেজাউদ্দিন আহমেদ, শেয়ার ট্রিপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাদিয়া হক, দ্য লিগ্যাল সার্কেল প্রতিষ্ঠাতা আনিতা গাজী।

‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’ শীর্ষক এ আয়োজন মূলত আঞ্চলিক পর্যায়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা ও স্থানীয়ভাবে নানা সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহিত করবে। ৩০ জন কমিউনিটি বিল্ডারের সমন্বয়ে এবং দেশের ২০টি অঞ্চলে পিচ সেশনের মাধ্যমে আয়োজনটি সেরা ২০ জন ‘আইডিয়াপ্রেনর’ খুঁজে বের করবে এবং তাদের পুরস্কৃত করবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এবং সম্ভাবনাময় তরুণ উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় রেখে এ আয়োজন সাজানো হয়েছে।

উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণে আগ্রহী তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা অর্জন, নেটওয়ার্কিং এবং ফান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা দেবে রিজিওনাল ডিজাইন বুটক্যাম্প। এ প্রচেষ্টা বাংলাদেশের যুব জনসংখ্যার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট জাতি গঠনের লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

এএএইচ/এমআরএম