ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

যে পেশায় এআই বিকল্প হতে পারবে না

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:১১ পিএম, ০৮ আগস্ট ২০২৩

প্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কার এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের মস্তিষ্কের মতো করে কাজ করে। চিন্তাশক্তি, বুদ্ধি কিংবা বিশ্লেষণ ক্ষমতা মানুষের সহজাত। কিন্তু একটি যন্ত্রকে মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তা দিয়ে, সেটিকে চিন্তা করানো কিংবা বিশ্লেষণ করানোর ক্ষমতা দেওয়ার ধারণাটিকে সাধারণভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলা হয়।

সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ‘অপরাজিতা’ নামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির এক সংবাদ উপস্থাপিকা সংবাদ পড়ে হতবাক করেছে সবাইকে। কিছুদিন আগে ভারতেও একজন এআই সংবাদ উপস্থাপিকা ‘সানা’ কে দেখা যায় খবর উপস্থাপনা করতে।

এআই যেমন আশীর্বাদ হয়ে এসেছে তেমনি অভিশাপও বটে। ধীরে ধীরে সব পেশায় মানুষের বিকল্প হয়ে উঠছে এআই। ফলে চাকরি হারাচ্ছে শত শত মানুষ। ধীরে ধীরে বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ বেকার হয়ে পড়বে এআই ব্যবহারের জন্য।

তবে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধর্মীয় ক্ষেত্রে অর্থাৎ ধর্ম প্রচার বা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত কারও চাকরি হয়তো এআই কেড়ে নিতে পারবে না। ধর্মীয় কাজকে চাকরি বলাটা ঠিক হবে না। তবে ধর্মীয় কাজ করে অনেকেই মাসে আয় করেন। ধর্মীয় কাজ পরিচালনার জন্য বহু মানুষের প্রয়োজন হয়। তবে তাদের কাজগুলো এআই কখনো করতে পারেব না।

গবেষণা বলছে, বিশ্বের একাধিক শিল্প বা ইন্ডাস্ট্রি এআই দখল করলেও এই ক্ষেত্রে মানুষের কাজ নিতে পারবে না আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। আসলে এআই যদি ধর্মীয় কাজ করে তা হলে বহু মানুষের বিশ্বাসে আঘাত লাগতে পারে। এই বিশ্বাসের সঙ্গে আবেগ, শ্রদ্ধা জড়িয়ে রয়েছে। আর মেশিন তো আর আবেগের জন্ম দিতে পারবে না!

সম্প্রতি জাপানের কিয়োটোতে কোডাই-জি বৌদ্ধ মন্দিরে মিন্ডার নামক একটি রোবট ধর্মীয় কাজকর্ম করছিল। একেবারে মানুষের মতো দেখতে। ১০ লাখ ডলার খরচ করে তৈরি করা হয়েছে রোবটটিকে। কিন্তু মন্দিরে যাওয়া প্রায় ৪০০ জনের মধ্যে অনেকেই সেই রোবটের মন্ত্রোচ্চারণ শোনার পর কম অনুদান দেন। বরং পুরোহিতের মুখে প্রার্থনা শুনে তারাই বেশি অনুদান দেন।

সূত্র: নিউজ১৮

কেএসকে/জিকেএস

আরও পড়ুন