জনতা সফটওয়্যার পার্ক হবে আন্তর্জাতিক মানের : পলক
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জনতা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক যাতে আন্তর্জাতিক মানের এবং বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হিসেবে গড়ে উঠে- এ জন্যই আমরা কানেক্টিং আয়োজন করেছি। এতে ৪ শতাধিক আবেদন পড়েছে, যা সত্যিই আশাব্যঞ্জক।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট ভবন অডিটরিয়ামে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে তরুণদের উদ্ভাবনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে কানেক্টিং স্টার্টঅ্যাপস প্রতিযোগিতা অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা দেশে ১ হাজার উদ্ভাবনী প্রকল্প তৈরিতে কাজ করছি। যেগুলো নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের বড় অবস্থান নেওয়ার স্বপ্ন দেখি।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বেসিস সভাপতি ও ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটালের জেনারেল পার্টনার শামীম আহসান, বাংলাদেশ কম্পিপউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম এবং বাংলালিংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের উচ্চগতির ইন্টারনেট, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, বড় কনফারেন্স রুম ব্যবহারের সুবিধাসহ তাদের বিনিয়োগ সমস্যা সমাধান, মানোন্নয়নসহ উদ্যোগটি যাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভূমিকা রাখতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া স্টার্টঅ্যাপগুলোকে নিয়ে পরবর্তীতে আরো কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
বেসিস সভাপতি ও ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটালের জেনারেল পার্টনার শামীম আহসান বলেন, আইসিটি ডিভিশন ও বেসিস দেশে ১ হাজার উদ্ভাবনী প্রকল্প তৈরিতে কাজ করছে। এগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে নিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে। ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটালসহ আরো কিছু বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব উদ্যোগকে সিলিকন ভ্যালির কোম্পানিগুলোর সংস্পর্শে আনাসহ তাদের বিনিয়োগ, মেন্টরিংসহ প্রয়োজনীয় সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা পেতে সাহায্য করবে বেসিস।
বাংলালিংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগী হিসেবে আমরা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ডিজিটাল ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরি করছি। যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আইডিয়া ও স্টার্টঅ্যাপসকে মেন্টরিংসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে বিভিন্ন সহযোগিতা করা হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা জনতা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে বাংলালিংকের সহযোগিতায় ডিজিটাল ইনকিউবিটের সাপোর্ট সেন্টারে এক বছরের জন্য বিনামূল্যে জায়গা বরাদ্দ পাবে।
পাশাপাশি বিজয়ীরা আর্থিক অনুদান এবং মেন্টরিংয়ের সুযোগ পাবে। এছাড়া নির্বাচিত আরো অর্ধশত উদ্যোগ এই ডিজিটাল ইনকিবিউটরে জায়গা বরাদ্দ নিতে পারবে।
অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের সৌজন্যে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ৪ শতাধিক সিম বিতরণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনের পর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে ‘হাউ টু বিকাম এ উইনার’, ‘ফান্ড রাইজিং’ ও ‘নেক্সট জেনারেশন মার্কেটিং’ শীর্ষক সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তিবিদরা আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সরকারের আইসিটি ডিভিশন, বেসিস, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। এই আয়োজনে ইনকিউবেশন ও টেলিকম পার্টনার হিসেবে বাংলালিংক এবং অন্যান্য সহযোগী হিসেবে রয়েছে ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, গ্যাপ এবং কিজকি।
প্রসঙ্গত গত ১৮ অক্টোবর জনতা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের উদ্বোধন করা হয়।
এনএম/আরএস/একে/পিআর