টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর সঙ্গে ফেসবুক প্রতিনিধির বৈঠক
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ড্রয়িং রুমের আলোচনার মতই ফেসবুক মানুষের অনুভূতি প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। পাশাপাশি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন ও গুজব ছড়ানোসহ এটির অপব্যবহার ভয়ংকর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।
অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সমাজ কিংবা রাষ্ট্রই নয়, ফেসবুকের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ফেসবুককে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে তার দপ্তরে ফেসবুকের বাংলাদেশবিষয়ক কর্মকর্তা সাবনাজ রশীদ দিয়ার সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশব্যাপী ইন্টারনেটসহ শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় ফেসবুকের বাংলাদেশে এখাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে।
২০১৮ সালে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বার্সিলোনায় প্রথম বৈঠকের ধারাবাহিকতায় গত ৫ বছরে পারস্পরিক সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারছি।
মোস্তাফা জব্বার ফেসবুককে বাংলাদেশের আইন ও বিধিবিধান মেনে চলা ছাড়াও দেশ ও দেশের বাইর থেকে রাষ্ট্রীয়, সামাজিক এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সম্মান বিঘ্নিতকর মিথ্যা ও গুজব বা অপপ্রচারমূলক উপাত্ত প্রচার ছাড়াও সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, পর্নোগ্রাফি ও বাংলাদেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধবিরোধী উপাত্ত প্রচার না করতে সরকারের মনোভাব ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের ১৬৫টি ভাষায় ফেসবুক তার কর্মকাণ্ড পরিচালনাকে বিশ্বের সব ভাষার প্রতি ফেসবুকের বিরল সম্মান প্রদর্শন বলে উল্লেখ করেন।
সাবনাজ রশীদ দিয়া বলেন, অন্যান্য দেশের পলিসি, আইন আর বাংলাদেশের অনেকটাই ভিন্ন, আমরা ক্ষতিকর কনটেন্টের বিষয়ে সতর্ক আছি। যে কোনো বিধিবিধানের ক্ষেত্রে অবশ্যই মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিবেচনায় রাখা উচিত। আমাদের পলিসিতে ঝুঁকিপূর্ণ কনটেন্টের বিষয়ে সচেতন থাকার বিষয়ে সরকার থেকেও বারবার বলা হয়েছে। আমরা সেই আলোকে ব্যবস্থাও নিয়েছি। তিনি ফেসবুক কর্তৃক বাংলাদেশে ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণের আশ্বাস ব্যক্ত করেন।
এরই মধ্যে ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যবসা করার সুযোগ সৃষ্টির জন্য ১০ লাখ মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রীকে অবহিত করেন দিয়া। যেকোনো আইন করার সময় স্টেকহোল্ডার, সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধি- সবার বক্তব্য নেওয়া উচিত। বিটিআরসি ওটিটি গাইডলাইন তৈরিতে এটি করায় ফেসবুক প্রতিনিধি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ফেসবুক প্রতিনিধিকে তার লেখা বইয়ের একটি সেট ও মুজিব জন্মশতবর্ষের ডাকটিকিট অ্যালবাম উপহার দেন মন্ত্রী।
এইচএস/এমএএইচ/এএসএম