বৈদ্যুতিক স্কুটার কেনার আগে যা খেয়াল রাখবেন
দিন দিন বাড়ছে দুই চাকা যানের চাহিদা। যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িতে বসে থেকে প্রতিদিনই ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিচ্ছে। তারপর নির্দিষ্ট সময়ে কোথাও পৌঁছানো যেন অসম্ভব এক সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই নারী-পুরুষ অনেকেই বেছে নিচ্ছেন বিকল্প দুই চাকার যানগুলো।
এখন বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদাও বাড়ছে। একদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি অন্যদিকে পরিবেশ রক্ষায় বৈদ্যুইতিক স্কুটার, বাইকের দিকেই ঝুঁকছে সবাই। সেই সঙ্গে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও একের পর এক বৈদ্যুতিক দুই চাকার যান আনছে। তবে বৈদ্যুতিক স্কুটার কেনার আগে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখুন। চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক-
ফিচার
বৈদ্যুতিক স্কুটার কেনার আগে এর ফিচারগুলো অবশ্যই দেখে নিন। যদিও বৈদ্যুতিক স্কুটারের ফিচার পেট্রোল চালিত স্কুটারের মতোই প্রায়। স্পিড লকিং সিস্টেম, অ্যাপ কানেক্টিভিটি, সাইড স্ট্যান্ড ইন্ডিকেটর, ই-এবিএস, ডিস্ক ব্রেক, ইউএসবি চার্জিং পোর্ট একই থাকবে। তবে বেশ কিছু ফিচার আলাদা আছে সেগুলো জেনে নিন।
ব্যাটারি
বৈদ্যুতিক যানবাহন যেটাই কেনেন না কেন ব্যাটারি দেখে নেওয়া সবচেয়ে জরুরি। বিভিন্ন কোম্পানি তাদের সব মডেলে বিভিন্ন ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করে। তবে এদের মধ্যে সেরা লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। দ্রুত চার্জ হয়, রেঞ্জ ভাল পাশাপাশি এর আয়ুও দীর্ঘ হয়।
চার্জের সময়
বৈদ্যুতিক স্কুটার কেনার সময় চার্জের সময়টা দেখে নিন। কারণ বেশি সময় নিলে বিদ্যুৎ খরচও বেশি। সাধারণত পুরো চার্জ হতে স্কুটারের ৫ ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু এর বেশি সময় লাগে এমন গাড়ি না কেনাই ভালো। বাজারে দ্রুত চার্জিং স্কুটার পাওয়া যায়। সেগুলো ৩০ মিনিটে ৫০ শতাংশের বেশি চার্জ হয়ে যায়।
রেঞ্জ
ইলেকট্রিক স্কুটারের ক্ষেত্রে রেঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ। কেনার আগে এটাও দেখে নিতে হবে। অনেক ইলেকট্রিক স্কুটার ৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ দেয়। আবার কিছু ইলেকট্রিক স্কুটারের রেঞ্জ ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত। যাই হোক ইলেকট্রিক স্কুটার কেনার আগে তাই কত কিলোমিটার রেঞ্জ দিচ্ছে সেটা জেনে নেওয়া উচিত।
গতি
ইলেকট্রিক স্কুটার কেনার আগে সর্বোচ্চ গতিও জেনে নিতে হবে। সর্বোচ্চ গতি ২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় হলে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিমা, হেলমেট ইত্যাদি কাছে রাখতে হবে।
ওয়াটারপ্রুফ
স্কুটারগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়াটারপ্রুফ হয় না। তাই কেনার সময় দেখে নিন এটি ওয়াটারপ্রুফ কি না। তাহলে ঝড় বৃষ্টি বা ভেজা রাস্তায় স্বাচ্ছন্দ্যে স্কুটার চালাতে পারবেন।
ওজন
বৈদ্যুতিক স্কুটারের ক্ষেত্রেও ওজন দেখে নিন। একটি স্কুটার সাধারণত ১০০ থেকে ১২০ কেজির মধ্যে হয়। আপনার ওজন যাই হোক না কেন স্কুটার চালানোর সময় যদি খুব ভারী স্কুটার হয় তাহলে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধায় পড়তে পারেন।
দাম
দামের ব্যাপার অবশ্যই মাথায় রাখুন। বাজেট অনুযায়ী ইলেকট্রিক স্কুটার বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। প্রয়োজনে কয়েকটি স্কুটার থেকে একটি বেছে নিন।
সূত্র: মেকইউজঅব
কেএসকে/জিকেএস