‘গুড মর্নিং’ মেসেজ পাঠালেও ব্যান হতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপে
অনেকেই আছেন অপরিচিতদের গুড মর্নিং, গুড নাইট টাইপ মেসেজ দেন। তারা হয়তো কখনোই আপনার মেসেজ খুলেও দেখছে না। অথচ আপনি যে কাউকে এই মেসেজ ফরওয়ার্ড করছেন। এখন থেকে ভুলেও এই কাজ করতে যাবেন না। যখন তখন ব্যান হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট।
ভাবছেন, সাধারণ এই মেসেজের কারণে কেন আইডি ব্যান হবে! আসলে এ ধরনের বার্তা ঘনঘন পাঠিয়ে গেলে হোয়াটসঅ্যাপ তা ‘স্প্যাম’ বলে গণ্য করে। ফলে ঘনঘন অপরিচিতদের এই মেসেজ পাঠালে কিছুটা ঝুঁকির মধ্যেই থাকতে হবে আপনাকে। আরও কিছু ভুলে আপনার আইডি ব্যান হতে পারে।
প্রতি মাসেই হোয়াটসঅ্যাপ লাখ লাখ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে স্প্যাম মেসেজ, অন্যরা অ্যাকাউন্টে রিপোর্ট করলে কিংবা হিংসায় প্ররোচনা দেওয়া ভিডিও বা ভুয়া বার্তা ছড়ানো মেসেজ ফরোয়ার্ড করতে থাকলেও পড়তে পারেন সমস্যায়। হারাতে পারেন আপনার অ্যাকাউন্টটি। আরও যেসব কারণে অ্যাকাউন্ট ব্যান হতে পারে জেনে নিন-
>> হোয়াটসঅ্যাপে অন্য কারো নামে ফেক অ্যাকাউন্ট খোলেন অনেকে। হোয়াটসঅ্যাপ ধরতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যান করে দেবে সেই অ্যাকাউন্ট।
>> হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয় বা বাল্ক মেসেজ বা অটো-ডায়াল এড়ানোর পরামর্শ দেয়। ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে রিপোর্ট পেলে অবাঞ্ছিত স্বয়ংক্রিয় বার্তা প্রেরণকারী অ্যাকাউন্টগুলোকে শনাক্ত করে নিষিদ্ধ করে হোয়াটসঅ্যাপ।
>> আবার ধরুন আপনি কারো কনট্যাক্ট লিস্টে না থাকা সত্ত্বেও তাকে অসংখ্য বার্তা পাঠিয়ে চলেছেন তাহলেও আপনার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে।
>> হোয়াটসঅ্যাপের নকল বা থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করলেও বিপদে পড়তে পারেন। যে কোনো সময় আপনার অ্যাকাউন্টটি নিষিদ্ধ হতে পারে।
>> আবার যদি আপনার ব্লক লিস্ট বড় থাকে। অর্থাৎ এক নাগাড়ে অসংখ্য মানুষকে ব্লক করে দিতে থাকেন তাহলেও সমস্যা। কনট্যাক্ট লিস্টে থাকুক বা না থাকুক, প্রচুর পরিমাণে অ্যাকাউন্টকে ব্লক করে দিলেও কিন্তু নিষিদ্ধ করে দেওয়া হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ।
>> আবার কারো অনুমতি না নিয়ে তাকে গ্রুপে বার বার যুক্ত করলেও হোয়াটসঅ্যাপ আপনার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করতে পারে।
সূত্র: বিজনেস টুডে
কেএসকে/এএসএম