গ্রামীণফোনের পেছনেই থাকবে রবি-এয়ারটেল
একীভূতকরণের পর তরঙ্গে প্রথম হলেও গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে রবি ও এয়ারটেল। আর তরঙ্গ কম হলেও গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষস্থানেই থাকবে গ্রামীণফোন।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন তালাত কামাল জাগো নিউজকে বলেন, গ্রামীণফোন কখনো কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে না। তাছাড়া তরঙ্গ কোনো মানদণ্ড নয়। বর্তমানে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা সাড়ে ৫ কোটি। আর একীভূতকরণের পর তরঙ্গ বেশি হলেও রবি ও এয়ারটেল মিলে গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি। গ্রামীণফোনের অব্যবহৃত তরঙ্গ ১ মেগাহার্টজ। আর রবি ও এয়ারটেল মিলে অব্যবহৃত তরঙ্গ হবে ৮ মেগাহার্টজ। সেবার মানেও কোনো পরিবর্তন আসবে না। ফলে উন্নয়নের গতি একই থেকে যাবে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, রবি ও এয়ারটেলের একীভূতকরণ একটি জটিল ইস্যু ছিলো। এ বিষয়ে অন্য চার অপারেটর `ইতিবাচক মনোভাব` দেখিয়েছে বলে বিষয়টি সহজ হয়ে গেছে। আর ১৭ ফেব্রুয়ারি গণশুনানি শেষ হলে আর কোনো বাধা থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, বেশ কিছু টেকনিক্যাল বিষয় এই একীভূতকরণকে প্রভাবিত করেছে। এর মধ্যে তরঙ্গ ও গ্রাহক সংখ্যার বিষয়টি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। একীভূতকরণ শেষে সবচেয়ে বেশি তরঙ্গের দাবিদার হবে রবি-এয়ারটেল। রবির বর্তমান তরঙ্গ ১৯ দশমিক ৮০ মেগাহার্টজ এবং এয়ারটেলের ২০ মেগাহার্টজ। একীভূত হওয়ার পর যোগফল গিয়ে দাঁড়াবে ৩৯ দশমিক ৮০ মেগাহার্টজ। আর বর্তমানে শীর্ষে থাকা গ্রামীণফোন ৩২ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিয়ে তখন দ্বিতীয় অবস্থানে চলে যাবে। তবে গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে গ্রামীণফোনের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
আরএম/একে/এবিএস