ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

বাজারে ইলন মাস্কের টুইটার ক্রিপ্টোকারেন্সি

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:৪৩ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২২

 

সম্প্রতি মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার কিনেছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক। ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিময়ে নিজের করে নিয়েছেন সাইটটিকে। ইলন মাস্কের টুইটার কেনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্রিপ্টোকারেন্সির দুনিয়ায় এক বিস্ফোরণ ঘটেছে।

টুইটার কেনার খবর সামনে আসতেই অনেকেই টেসলার কর্ণধারের নাম দিয়ে বাজারে বেশ কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করেছে। যেহেতু সাম্প্রতিককালে ক্রিপ্টোর মোহে মানুষ বুঁদ হয়ে রয়েছেন, তাই বাজারে আসা মাত্রই ব্যাপক হারে সেগুলোকে তারা কিনে ফেলেছেন। ফলস্বরূপ একলাফে ক্রিপ্টোগুলোর দাম চড়চড় করে বেড়ে এক বিশাল উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে।

ক্রিপ্টোকারেন্সির দুনিয়ায় ইলন মাস্ক খুবই পরিচিত এক নাম। বিভিন্ন ধরনের চটকদার ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে প্রোমোট করে ইতিমধ্যেই ক্রিপ্টো বাজারে এক নজিরবিহীন সাফল্য অর্জন করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনীতম এই ব্যক্তি। কয়েন মার্কেটকেপের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই তালিকার প্রথম ক্রিপ্টোটি হলো ইলন বাইস টুইটার (Elon Buys Twitter) বা বা ইবিটি টোকেন (EBT token)।

টেসলার কর্ণধারের টুইটার কেনার খবর প্রকাশ্যে আসার পরইবিটি টোকেনের দাম গত ২৪ ঘণ্টায় ১০,৫০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। যা এককথায় অবিশ্বাস্য! বর্তমানে মার্কেটে এই ডিজিটাল মুদ্রাটির ৪০৬২ শতাংশ হারে লেনদেন হচ্ছে। অন্যদিকে, ডগি ইলন মারস (Doge Elon Mars) ক্রিপ্টোকারেন্সির দামও একলাফে ২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। বর্তমানে মার্কেটে এটির ১২.৬৪ শতাংশ হারে লেনদেন চলছে।

এখানেই শেষ নয় পাশাপাশি ইলন মাস্কের অন্যান্যক্রিপ্টোকারেন্সির দামও একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তবে ক্রিপ্টো দুনিয়ায় যে এরকম ঘটনা এই প্রথম ঘটল তা কিন্তু নয়। এর আগে গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে নেটফ্লিক্সের ব্লকবাস্টার ওয়েব সিরিজ স্কুইড গেমের নাম দিয়ে স্কুইড গেম ক্রিপ্টো নামে একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি লঞ্চ করা হয়েছিল।

এই ডিজিটাল মুদ্রাটি তখন এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই এর দাম ৩০ হাজার শতাংশেরও বেশি বেড়ে ২,৮৫৬.৬৫ ডলারে পৌঁছেছিল। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই উচ্চতায় পৌঁছানোর মাত্র সাত সেকেন্ডের মধ্যেই এটির দাম ৯৯.৯৯% হ্রাস পায়, যার ফলে ক্রিপ্টো মুদ্রাটির মূল্য মাত্র ০.০০০৭ ডলারে নেমে আসে! খুব স্বাভাবিকভাবেই এর ফলস্বরূপ কোটি কোটি বিনিয়োগকারী মারাত্মক রকম লোকসানের সম্মুখীন হন।

সূত্র: বিজনেস টুডে

কেএসকে/জিকেএস

আরও পড়ুন