মার্ক জুকারবার্গের সাফল্যের ৪ নীতি
মার্ক জুকারবার্গ সত্যিই সাফল্যের এক অনুপ্রেরণার নাম। বর্তমান বিশ্বের এমন কেউ নেই যে, ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকারবার্গকে চেনেন না! কলেজ ছাত্রাবাসে থাকাকালীনই নিজ সাম্রাজ্য তৈরি করে প্রতিটি ছাত্রকে তাদের স্বপ্ন অর্জন করতে অনুপ্রাণিত করেন তিনি।
জুকারবার্গ অল্প বয়সেই বিশ্ববাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তবে জানেন কি, তার সফলতার পেছনে আছে অনেক অধ্যবসায় আর কিছু নিয়ম-নীতি। আপনিও চাইলে জুকারবার্গের পরামর্শ অনুযায়ী ৪ নীতি মেনে সাফল্য অর্জন করতে পারেন।
স্বপ্নের পেছনে শ্রম
আপনি যা করতে চান বা স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে সময় ও শ্রম ব্যয় করতে হবে। ওই বিষয়ে আপনি যত বেশি চিন্তা করবেন; তত বেশিই ফলাফল পাবেন। জুকারবার্গ তার কোম্পানি ও দলের সদস্যদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সব সময় আলোচনা ও গবেষণা করেন। অর্থাৎ নির্দিষ্ট কাজের পেছনে তিনি সময় ব্যয় করেন।
মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া
নিজেকে সবকিছুতেই বিজ্ঞ না ভেবে ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে নিজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা উচিত। তাহলে অন্য ব্যক্তির কাছ থেকে নিজের ভুল সম্পর্কে জেনে আরও সংশোধন করতে পারবেন।
জুকারবার্গ নিয়মিতভাবে তার কোম্পানির সদস্যদের সঙ্গে একটি সেশন পরিচালনা করেন, যেখানে তিনি কোম্পানির উদ্দেশ্য, দিকনির্দেশ ইত্যাদি সম্পর্কিত প্রশ্নগুলো জানার চেষ্টা করেন। যার মাধ্যমে তিনি নিজেও অনেক ধারণা পান।
ভুল
ভুল করতে ভয় পাবেন না। যদি ফেসবুকের সিইও ভুল এড়াতে বিরক্তবোধ না করেন, তাহলে সম্ভবত আপনারও ভুল নিয়ে ভয় পাওয়া উচিত নয়। তবে ভুল সংশোধনের জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করাও জরুরি।
হাল ছাড়বেন না
জীবনে কখনো হাল ছাড়বেন না। আপনার সময় খারাপ গেলে ধৈর্য ধরুন। জুকারবার্গের ফেসবুক একদিনের সাফল্য ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়া ফিল্ডে আধিপত্য বিস্তারকারী অ্যাপটি নিয়ে আসতে তাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিদ্রাহীন রাত কাটাতে হয়েছে। তবুও তিনি হাল ছাড়েননি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এসইউ/জিকেএস