প্রযুক্তি কখনো মানুষের বিকল্প হতে পারে না: মন্ত্রী
আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে জাপানের দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরে ডাক ও টেলিযোগাযোগাগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রযুক্তি কখনো মানুষের বিকল্প হতে পারে না।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারণার বিপরীতে জাপানের সোসাইটি ফাইভ-পয়েন্ট জিরো ধারণাটিকে ‘খুবই মানবিক’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জাপান সর্বপ্রথম গুরুত্ব দিয়েছে মানুষকে এবং পরে যন্ত্রকে। আমরাও মনে করি, প্রযুক্তি মানুষের বিকল্প হতে পারে না।
বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুপ্রতীম দেশ দুটির মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধু। আর্থসামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে জাপান বাংলাদেশের বড় অংশিদার।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত আইতো নাওকি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর সঙ্গে তার দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে উভয়ে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষত ফাইভ-জিসহ ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
এছাড়াও জাপানি রাষ্ট্রদূত আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) নির্বাচনে টেলিকমিউনিকেশন্স স্ট্যান্ডারাইজেসনের ডাইরেক্টর পদে জাপানের প্রার্থিতার কথা মন্ত্রীকে জানান।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, জাপান বিশ্বে প্রথম ফাইভ-জি প্রবর্তন করেছে, বাংলাদেশও ফাইভ-জি প্রযুক্তি যুগে প্রবেশ করেছে। ফাইভ-জির আইটিইউ স্ট্যান্ডারাইজেসনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গোটা দুনিয়াকে বদলে দিতে ভূমিকা রাখবে। জাপান এ ব্যাপারে বড় ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মোস্তাফা জব্বার।
আসন্ন আইটিইউ নির্বাচনে জাপানের প্রার্থিতা বিষয়ে দেশটির ইন্টারন্যাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স মন্ত্রী কানেকোর একটি চিঠি মন্ত্রীকে হস্তান্তর করেন রাষ্ট্রদূত।
এসময় জাপানের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী তার বিভাগ কাজ করবে বলে রাষ্ট্রদূতকে জানান মন্ত্রী।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি ও হেড অব ইকোনমিক ডিপার্টমেন্ট হারুতা হিরোকি উপস্থিত ছিলেন।
এইচএস/এমকেআর/এএসএম