ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

হোয়াটসঅ্যাপে যে ইমোজি পাঠালেই জেল-জরিমানা

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:২৬ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২

বর্তমানে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। নিত্য নতুন সব ফিচার হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও ভালো করছে। দীর্ঘ বার্তা লিখতে ইচ্ছা না করলে ভয়েস মেসেজ পাঠাতে পারবেন অল্প সময়েই।

এছাড়াও রয়েছে মেজেস রিঅ্যাকশন দেওয়ার সুবিধা। কিংবা ইমোজি দিয়ে মনের ভাব প্রকাশের সুযোগ রয়েছে প্ল্যাটফর্মটিতে। যা খুবই জনপ্রিয়। তবে এবার সেই ইমোজি পাঠিয়েই বিপদে পড়তে পারেন আপনি। হতে পারে জেল-জরিমানাও।

হার্ট সাইন বা ইমোজি পাঠালেই আপনাকে সমস্যায় পড়তে হবে। এরই মধ্যে এ নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে তা শুধু সৌদি আরবের বাসিন্দাদের জন্যই প্রযোজ্য। এখনই বাংলাদেশে এ নিয়ম চালু হচ্ছে না।

গলফ নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই নিয়ম লঙ্ঘন করে কেউ হার্ট ইমোজি সেন্ড করেন তাহলে তাকে এক লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে। বাংলাদেশি টাকায় যা ২০ লাখ টাকারও বেশি। এছাড়াও পাঁচ বছরের জেল হতে পারে সেই ব্যক্তির।

ব্যবহারকারী যদি বারবার এ কাজ করেন তাহলে তাকে জরিমানা গুনতে হবে ৩ লাখ সৌদি রিয়াল। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ লাখের বেশি। একই সঙ্গে জেল খাটতে হবে ৫ বছর।

সৌদি আরবের অ্যান্টি ফ্রড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আল মোয়াতাজ কুতবি জানান, হোয়াটসঅ্যাপে হার্ট ইমোজি পাঠানো কাউকে হেনস্তার সমান। এই প্ল্যাটফর্মে চ্যাট করার সময় কেউ যদি এই ধরনের ছবি বা ইমোজি পাঠায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যিনি পাঠিয়েছেন অর্থাৎ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হলে শাস্তি পেতে হবে।

এর পাশাপাশি অনলালইন চ্যাটের কোনো ব্যক্তিকে যে কোনো ভাবে অপমাণ বা হেনস্তা করে তাহলেও প্রেরককে কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হবে। অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে, সামাজিক যোগাযোগের সাইট বা ইনস্ট্যান্ট মেসেজিংয়ের প্রায় সব অ্যাপ থেকেই পাঠানো যায় হার্ট ইমোজি। তাহলে শুধু হোয়াটসঅ্যাপের ক্ষেত্রেই এমন শাস্তির ব্যবস্থা কেন?

মূলত সাধারণের পাশাপাশি বেশ কিছু বিষয়ে অ্যানিমেশন করা ইমোজি রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। ভালোবাসার ইমোজি কাউকে পাঠালেই সেটি প্রাপকের ইনবক্সে হৃৎপিণ্ডের মতো নড়তে থাকে, যা অনেকের কাছেই অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

সৌদি আরবের হয়রানিবিরোধী নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো বিবৃতি, কাজ বা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তিকে যৌন ইঙ্গিত, স্পর্শ করা, সম্মানহানি বা শালীনতা লঙ্ঘন করাকে হয়রানি হিসেবে গণ্য করা হয়। দেশটির সমাজের রীতি অনুযায়ী, ভালোবাসার ইমোজি বিনিময় বিপদের কারণ হতে পারে।

যদিও এমন আইন সেদেশে এবার প্রথম নয়। এর আগেও এ আইন সম্পর্কে জানিয়েছিল সৌদি আরব সরকার। গত বছরের নভেম্বর মাসে একটি রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছিল। সেই রিপোর্টে বলা হোয়, একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে এক ব্যক্তিকে বের করে দেওয়ার অপরাধে এক অ্যাডমিনের ৫ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হয়েছিল। যা প্রায় ১ কোটি টাকার সমান।

সূত্র: গলফ নিউজ

কেএসকে/এএসএম

আরও পড়ুন