স্মার্টফোন বারবার হ্যাং হলে করণীয়
প্রযুক্তির উন্নতি এবং সহজলভ্যতার কারণে এখন সবার হাতেই স্মার্টফোন। পুরো দুনিয়া পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো যায় এই ডিভাইসটির মাধ্যমে। দিনের বেশিরভাগ সময়ই আমরা প্রয়োজন এবং অপ্রয়োজনে স্মার্টফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে কাটিয়ে দেই।
এই সময় সবচেয়ে বেশি যেই সমস্যায় পড়েন ব্যবহারকারী তা হচ্ছে, স্মার্টফোন হ্যাং হয়ে যাওয়া। তখন অ্যাপস খুলতে দীর্ঘ সময় লাগে। ইন্টারনেট চালানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। জরুরি কাজে হয়ে যায় দেরি। অনেক সময় রেগে গিয়ে ফোনটা ছুঁড়ে ফেলে দেন। এতে আপনার সাধের ফোনটাকেই হারাতে হয়।
তবে খুব সহজ কিছু বিষয় নজর রাখলেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব-
> আপনার স্মার্টফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকা অ্যাপগুলো বন্ধ করে দিন।
> ব়্যাম মেমোরি কম হলেই সাধারণত স্মার্টফোন হ্যাং করে। তাই ফোন কেনার আগে দেখে নিন ব়্যাম বেশি কি না।
> যদি মোবাইলের ব়্যাম কম হয়, তাহলে ভারী এইচডি ভিডিও কিংবা গেম ডাউনলোড না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। একই সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ডের অ্যাপগুলো বন্ধ করে দিন।
> টাস্ক ম্যানেজারে গিয়ে চলতি অ্যাপসগুলো বন্ধ করে রাখুন। অনেক সময় দেখা যায় অজান্তেই ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে একাধিক অ্যাপস। যাতে মোবাইল হ্যাং হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। টাস্ক কম্যানেজারে গিয়ে চলতি অ্যাপসগুলো বন্ধ করে দিন।
> থ্রিডি ওয়ালপেপার থাকলে তা বন্ধ করে দিন। থ্রিডি ওয়ালপেপার এখন বেশ জনপ্রিয়। স্ক্রিনে আলো জ্বললেই জীবন্ত হয়ে ওঠে ওয়ালপেপারটি। এই ধরনের ওয়ালপেপার স্টোরেজও যেমন বেশি জায়গা দখল করে, তেমনই ব্যাটারিও দ্রুত কমে যায়।
> ফোন মেমোরি অতিরিক্ত ব্যবহার করলেই স্মার্টফোন হ্যাং হয়। তাই এক্সটারন্যাল স্টোরেজ অপশন থাকলে সেটি ব্যবহার করুন। মাঝে মধ্যে সেটিংস থেকে ইন্টারনেট মেমোরির ক্যাশ পরিস্কার করুন।
> ফোনে অপ্রয়োজনীয় ডাটা ডিলিট করুন নিয়মিত। হয়তো প্রয়োজনে অনেক কিছু ডাউনলোড করতে হয়। দিন শেষে অবশ্যই নিজের ফোন থেকে অপ্রয়োজনীয় তথ্য বা ডাটা ডিলিট করে দেবেন।
> অনেকেই আলাদা করে অ্যান্টি ভাইরাস ব্যবহার করেন। এটার প্রয়োজন নেই। মোবাইলে থাকা ক্লিনার অ্যাপ দিয়েই এই কাজটি সারতে পারেন। থার্ট পার্টি এসব অ্যাপের কারণে অনেক সময় মোবাইল হ্যাং হয়।
কেএসকে/জিকেএস