৬ এলাকায় ফাইভ জি চালু হচ্ছে রোববার
দেশে ফাইভ জি নেটওয়ার্কের যাত্রা শুরু হচ্ছে আগামীকাল রোববার (১২ ডিসেম্বর) থেকে। শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবালয়সহ ছয়টি এলাকায় সীমিত পরিসরে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে। তবে এটি সম্পূর্ণ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হচ্ছে।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এ তথ্য জানান। পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক চালুকরণ উপলক্ষে পিআইডি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
মোস্তফা জব্বার বলেন, ২০১৮ সালে ঘোষিত আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশে ২০২১-২৩ সালের মধ্যে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক চালু করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ১২ ডিসেম্বর থেকে সীমিত পরিসরে ফাইভ জি চালু করতে যাচ্ছে সরকার। দেশের ছয়টি নির্ধারিত এলাকায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটকে ফাইভ জি নেট পাওয়া যাবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের সরাসরি উপস্থিতিতে আমরা ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ঢাকায় এই প্রযুক্তির প্রথম পরীক্ষা সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করেছি। আগামীকাল ১২ ডিসেম্বর পঞ্চম ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে বাংলাদেশ ফাইভ জি যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে এ ঐতিহাসিক যাত্রার শুভ উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের এই মাহেন্দ্রক্ষণটি ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
মোস্তফা জব্বার জানান, ফাইভ জি প্রযুক্তি সেবা কেবল গ্রাহকদের জন্য মোবাইল ব্রডব্যান্ড ও ভয়েস কলের প্রযুক্তি নয়। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, রোবোটিকস, বিগডাটা, ব্লকচেইন, আইওটি প্রযুক্তির আইওটি, হিউম্যান টু মেশিন, মেশিন টু মেশিন ইত্যাদি প্রযুক্তি ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে ক্রিটিক্যাল মিশন সার্ভিস, স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট সিটি, স্মার্ট হোম, স্মার্ট ফ্যাক্টরি সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। মোবাইল গ্রাহকরা অধিকতর উন্নত গুণগত মানের ভয়েস কল ও ফোর জি হতে বহুগুণ দ্রুত মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে সক্ষম হবে। ঢাকায় বসে প্রত্যন্ত অঞ্চলে রোগীর রোবট সার্জারি করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, চালকবিহীন গাড়ি চালানো যাবে এবং স্মার্ট ফ্যাক্টরি স্থাপনের মাধ্যমে অটোনোমাস উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা যাবে। প্রাথমিকভাবে টেলিটক ঢাকা শহরের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর, বাংলাদেশ সচিবালয়, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, সাভার এবং ঢাকার বাইরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ফাইভ জি কাভারেজের আওতায় আনা হচ্ছে। পরে ঢাকা শহরের ২০০টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এ প্রযুক্তি সেবা চালু করা হবে। আগামী মার্চে বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ নিলামে দেওয়ার পর বেসরকারি তিনটি মোবাইল অপারেটর এ প্রযুক্তি চালু করবে।
২০২২ সালের পর টেলিটক ও বিটিসিএলের মাধ্যমে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল বিশেষ করে স্পেশাল ইকোনোমিক জোনসমূহে এ সেবা চালু করার প্রস্তুতির কাজ চলছে বলেও জানান মন্ত্রী।
এসময় অন্যদের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাহাব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আইএইচআর/এএএইচ/এএসএম