৫জি সম্প্রসারিত হলে চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে
৫জি প্রযুক্তি সম্প্রসারিত হলে চিকিৎসাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, এর ফলে প্রত্যন্ত গ্রামে বাড়িতে বসেই চিকিৎসা করানোর সুযোগ আসছে। চিকিৎসাক্ষেত্রে বিস্ময়কর এই সুযোগ কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে নারী রোগতত্ত্ব বিষয়ক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সংগঠন এন্ডমেট্রিয়সিস অ্যাডনোমাইয়োসিস স্যোসাইটি অব বাংলাদেশ (ইএএসবি) আয়োজিত ফাস্ট ভার্চুয়াল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট সফলভাবে দেশের ৮০টি উপজেলায় চিকিৎসাকেন্দ্র চালু এবং তা সফলভাবে পরিচালনা করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ৪জি প্রযুক্তি দিয়েই আমরা দেশে টেলিমেডিসিনসেবা সম্প্রসারণ করেছি। ৫জি প্রযুক্তি চিকিৎসাক্ষেত্রে অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে।
নারী ও কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালীন কিছু সমস্যা ও তা থেকে উদ্ভূত রোগ সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে প্রাথমিকের শিক্ষকদের সচেতন করতে পারলে ভালো কাজ হবে। অনেক জটিল রোগের উৎপত্তি বাধাগ্রস্ত হবে।
এছাড়াও সচেতনতার জন্য টিভি চ্যানেলসমূহের পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। মন্ত্রী এ বিষয়ে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের দৃঢ় আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এই ধরনের একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মাতৃকূলসহ সকল নাগরিকের নিরাপদ স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।
ইএএসবি সভাপতি প্রফেসর শামেলা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর সালেহা বেগম চৌধুরী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের কর্মকর্তা প্রফেসর শাহানারা চৌধুরী, প্রফেসর এমএ তাহের এবং প্রফেসর মলয়কান্তি চক্রবর্তী বক্তৃতা করেন।
বক্তারা মাতৃস্বাস্থ্য বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত নারী জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে জনসচেতনা তৈরি এবং তাদের সুচিকৎসা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এইচএস/ইএ/এএসএম