ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

ডিজিটালাইজেশনের বড় চ্যালেঞ্জ সচেতনতার অভাব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৫৮ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটালাইজেশনের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সচেতনতার অভাব। জনগণকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ততা করার পাশাপাশি প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষিত করা অপরিহার্য। এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি বিসিএসসহ সংশ্লিষ্ট ট্রেড বডিগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বিসিএস কম্পিউটার সিটি প্রতিষ্ঠার ২২ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে ‘বিসিএস কম্পিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটি’ আয়োজিত চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশে মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের শতকরা ৩৫ ভাগ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। সারাদেশে ফোরজি নেটওয়ার্ক ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সম্প্রসারিত হওয়ায় খুব দ্রুত স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে শতকরা ৮৫ ভাগ থেকে ৯০ ভাগে উন্নীত হবে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, আমরা এ বছরেই ৫জি যুগে প্রবেশ করছি। আর প্রযুক্তির এই আধুনিক ভার্সনটি হবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পণ্য। মন্ত্রী দেশের আধুনিক প্রযুক্তি পণ্যের হাব হিসেবে পরিচিত বিসিএস কম্পিউটার সিটিকে প্রচলিত ডিজিটাল পণ্যের পাশাপাশি আধুনিক ডিজিটাল ডিভাইসের হাব হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এসময় বিসিএসের সাবেক সভাপতি মোস্তাফা জব্বার ১৯৮৭ সালের পর থেকে কম্পিউটার প্রযুক্তি ও এর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে কম্পিউটার মেলাসহ বিসিএসের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ৯৮ সালে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়, রচিত হয় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের সোপান। গত ১২ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র আট জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হতো, বর্তমানে তা সাড়ে ২৬০০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে।এসময় তিনি কম্পিউটার জনপ্রিয় করতে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা ও বিসিএসের তৎকালীন নেতাদের অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

তিনি তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে জামিলুর রেজা চৌধুরীর (জেআরসি) রিপোর্ট বাস্তবায়নে বিসিএসের অবদান তুলে ধরে বলেন, কমিটির ৪৫টি রিপোর্টের মধ্যে ২৮টি রিপোর্ট বাস্তবায়নে বিসিএস ভূমিকা পালন করে। ডিজিটালাইজেশনের জন্য বঙ্গবন্ধুর রোপণ করা বীজটি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারাগাছে রূপান্তর করেন। শেখ হাসিনার হাত ধরেই তা বিরাট মহিরূহে পরিণত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে বিসিএস সভাপতি শাহিদ-উল মুনীর, সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ এইচ কাফি, আহমেদ হাসান জুয়েল, সবুর খান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুনেম রানা, বিসিএস সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনি, বিসিএস নেতা ভূইয়া এনাম লেলিন, রফিকুল আনোয়ার, হাবিবুর রহমান শাহীন, মঈনুল ইসলাম মইন প্রমুখ বক্তব্য দেন

পরে ভার্চুয়ালি মন্ত্রী বিসিএস কম্পিউটার সিটির ২২ বছর পদার্পণ উপলক্ষে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন।

এইচএস/এআরএ/এএসএম