ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৪:৩২ এএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫

সকল প্রকার জটিলতার অবসানের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আজ (বুধবার) থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশনের শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম পুর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী মহান বিজয় দিবসে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনে (বিটিআরসি) আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচি চালু করবেন।

এ বিষয়ে তারানা হালিম জাগো নিউজকে বলেন, আমরা সফল। কিছু জটিলতা প্রক্রিয়ার যাচাই-বাছাই শেষে সমস্যা কমিয়ে সুন্দরভাবেই আমরা বায়োমেট্রিক সিম রেজিস্টেশন পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছি।

তিনি জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরুর আগে এ জন্য নভেম্বর থেকে ট্রায়াল শুরু হয়, যাতে বুঝতে পারি কী ধরনের সমস্যা হয়। আঙ্গুলের ছাপ দিতে গিয়ে অনেক সময় এরোর (ভুল) আসছিলো, কী কারণে ম্যাচ করছিলো না, এনআইডি কর্তৃপক্ষকে রিকুয়েস্ট করলাম, কী কারণে এই ভুলগুলো? কেন ম্যাচ করছে না? তখন বুঝতে পারলাম, অনেক ক্ষেত্রে এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর) নম্বর ভুল দেওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ এনআইডি নম্বর এন্ট্রি করার ক্ষেত্রে ভুল করছে।

এ সমস্যা সমাধানে গ্রাহকের আঙ্গুলের ছাপ চার বার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেটি মিলে গেলে এবং তারা যখন ফিডব্যাক দেবেন, তখন সেটা বাস্তবায়ন করা যাবে। এভাবে পরীক্ষা করে দেখা এই প্রক্রিয়ায় সাফল্য এসেছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে সিম নিবন্ধন না করা হলে ওই সিম বন্ধ করে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে গ্রাহক উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে পারলে বন্ধ সিম চালু করার বিষয়ে বিবেচনা করবে সরকার।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাজাহান মাহমুদ জাগো নিউজকে জানান, ১৮ বছরের নিচে কারও কাছে সিম বিক্রি করা যাবে না, সিম থাকলেও নিবন্ধন করা যাবে না। ১৮ বছরের নিচের বয়সীদের তাদের অভিভাবকদের (মা-বাবা) নামে সিম নিবন্ধন করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের নামে একটি সিমের নিবন্ধনের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির উদ্বোধন করেন।  পর গত ১ নভেম্বর থেকে মোবাইল অপারেটরগুলো পরীক্ষামূলকভাবে এই কার্যক্রম শুরু করে। বিটিআরসি থেকে সর্বশেষ (অক্টোবর ২০১৫) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী দেশে ৬টি মোবাইল অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ ৯৬ হাজার।

আরএম/আরএস/এমএস