ফেসবুক শুধু মেয়েদের জন্য নয়
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ অবশেষে ব্যবহারকারীদের মুখোমুখি হয়ে নানা প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিয়েছেন। তবে অনেকে অনেক প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
মার্ক জুকারবার্গকে নিয়ে তৈরি দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক চলচ্চিত্র নিয়েও এ প্রশ্ন ছিল ব্যবহারকারীদের। জবাবে মার্ক জানিয়েছেন, চলচ্চিত্রটিতে দেখানো হয়েছে আমি শুধু মেয়েদের জন্য ফেসবুক তৈরি করেছি। কিন্তু আসলে তা ঠিক নয়, নারী-পুরুষ সবার জন্যই এটি তৈরি করেছি। আর এটি তৈরি করতে আমাকে দিনের পর দিন প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। চলচ্চিত্রটি বানানোর জন্য বানানো হয়েছে, এ নিয়ে মার্কের কোনো বিশেষ ভাবনা বা আলাদা করে কিছু বলার নেই বলেও জানান তিনি।
স্মার্টফোনের সাহায্যে ফেসবুক ব্যবহার করতে হলে ম্যাসেঞ্জার অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতেই হয়। এ নিয়ে অভিযোগ করলে জুকারবার্গ জানান, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ চায় ব্যবহারকারীদের সব সময় সর্বোচ্চ সহজ সুবিধা দিতে। ম্যাসেঞ্জার অ্যাপ্লিকেশনটির সাহায্যে সহজে চ্যাট করা যায়। এছাড়া এটি দ্রুতগতির হওয়ার কারণে ব্যবহারকারীদের অহেতুক বিরক্তির সম্মুখীন হতেও হয় না। তাই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে অ্যাপ্লিকেশনটি।
যে কোনো অনুষ্ঠানে মার্ককে দেখা যায় টি-শার্ট এবং জিন্স পরতে। সব সময় তিনি কেন একই ধরনের সাধারণ পোশাক পরেন- এমন প্রশ্ন করা হলে জবাবে মার্ক বলেন, পোশাক ও খাওয়া-দাওয়া সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে চিন্তা করা অযথা শক্তির অপচয়। এর চেয়ে কমিউনিটি এবং ফেসবুক নিয়ে কাজকর্ম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই এমন পোশাকে দেখা যায় তাকে। ব্যস্ততার মধ্যে এত বেশিই মগ্ন থাকেন যে, প্রায় প্রতিদিন একই টি-শার্ট পরে থাকেন বিলিওনিয়ার মার্ক জুকারবার্গ।
জুকারবার্গের এই আচরণটি সবার নজরে না পড়লেও কজনের নজর এড়াতে পারে না। কিন্তু যাদের আবার পড়ে, তারা আবার হয়তো প্রশ্নটি করারও সুযোগ পান না। তবে বৃহস্পতিবার এই সুযোগটি পেয়েই তাকে প্রশ্ন করে বসলেন এক ভক্ত! আর জুকারবার্গ! মোটেও বিচলিত না হয়ে উত্তর দিয়ে যান এ প্রশ্নের, এ রকম আর কিছু প্রশ্নের। ক্যালিফোর্নিয়ায় ফেসবুকের সদরদফতরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়ার একপর্যায়ে ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক জুকারবার্গ, আসলে আমার একই রকমের অনেক টি-শার্ট রয়েছে।
নিজেকে ভাগ্যবান আখ্যা দিয়ে ফেসবুক সম্রাট বলেন, আমাকে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠতে হয় এবং কোটি কোটি মানুষের সেবা করতে হয়। যদি সামান্য বিষয়ে আমাকে সময় ব্যয় করতে হয়, তবে আমার যা করণীয় তা করা সম্ভব হবে না। ফেসবুক পেজে এমন অনেক প্রশ্নই করা হয় জুকারবার্গকে।