ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

শেষ হলো গভর্মেন্ট ডিসকাসন ফোরাম ফর ইলেক্ট্রনিক আইডেনটিটি

প্রকাশিত: ১২:২৬ পিএম, ০২ ডিসেম্বর ২০১৫

উন্নত দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও সহজে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ইলেক্ট্রনিক আইডি (ই-আইডি) কার্ড চালুর প্রত্যাশা নিয়ে বুধবার শেষ হলো ১১তম গভর্মেন্ট ডিসকাসন ফোরাম ফর ইলেক্ট্রনিক আইডেনটিটি-২০১৫। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে মঙ্গলবার শুরু হয় এই ডিসকাসন ফোরাম।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও এশিয়া প্যাসিফিক স্মার্ট কার্ড অ্যাসোসিয়েশনের (এপিএসসিএ) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী গভর্মেন্ট ডিসকাসন ফোরামে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, এশিয়া প্যাসিফিক স্মার্ট কার্ড অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ভেরোনিকা পোটসহ বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেয়।

Mal

ফোরামে দেশি-বিদেশি আলোচকরা বলেন, কোনো দেশের প্রতিটি নাগরিককে এ ধরনের একটি কার্ড প্রদান করা হলে তা সকল সরকারি ও বেসরকারি সেবা প্রদান যেমন নিশ্চিত করবে তেমনি সঠিক সময়ে সঠিক সেবা পাওয়ার পথ সুগম করবে। এতে সময় ও অর্থের অপচয় রোধ হবে, সুশাসন নিশ্চিত হবে।

আলোচনা সভার পাশাপাশি হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্বের প্রায় ২৬টি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্মার্ট আইডি কার্ডসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রদর্শন করে। পাশাপাশি, বিশ্বের প্রায় শতাধিক স্মার্ট কার্ড বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন সেমিনার ও ওয়ার্কশপে অংশ নেন।  

মঙ্গলবার ১১তম গভর্মেন্ট ডিসকাসন ফোরাম ফর ইলেক্ট্রনিক আইডেনটিটি-২০১৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়ন ঘটাতে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে অনেক সেবাই ডিজিটালাইজড করেছে। এমনকি গ্রামের মানুষও এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবা পাচ্ছে।

Mal

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকার ইতোমধ্যে জাতীয় পরিচয় পত্রধারীদেরকে (৯ কোটি ৬২ লাখেরও বেশি) স্মার্ট কার্ড প্রদানের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে। তাই, পৃথিবীর অন্যান্য দেশ তাদের কোন প্রেক্ষিতে কিভাবে এ ধরনের কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করছে এবং আমরা কিভাবে বাংলাদেশে এই সুবিধাগুলো নিশ্চিত করতে পারি, সেই বিষয়ে বিশদ আলোচনা, উপদেশ এবং সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য ১১তম গভর্মেন্ট ডিসকাসন ফোরাম ফর ইলেক্ট্রনিক আইডেনটিটি-২০১৫ এর আয়োজন করেছে।

তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের সকল নাগরিকের জন্য ই-আইডি কার্ড চালুর ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করবে সরকার।

আরএম/এসএইচএস/এমএস