এবারও হচ্ছে বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন এওয়ার্ড
ডিজিটাল প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে সামাজিক উদ্ভাবনামূলক কাজের সম্মাননা প্রদানের জনপ্রিয় এওয়ার্ড বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন এওয়্যার্ড। প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ আয়োজন।
এটি আয়োজন করছে বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন ফোরাম।
এবারের আয়োজনের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে মে মাসের শুরুর দিকে। আবেদন জমা নেওয়া হয় বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন ফোরামের ইভেন্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের (www.bdsis2021.com) মাধ্যমে।
গত ২০ মে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়। এবার মোট সাতটি ক্যাটাগরিতে বিশ্বের ২৯টি দেশের ১ হাজার ৮ জন আবেদন করেছেন ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন এওয়ার্ড ২০২১'- এ।
আয়োজকরা জানান, ইতিমধ্যে প্রাথমিকভাবে ১৫২ জনকে মনোনয়ন পত্র প্রদান করা হয়েছে। যাদের মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং যারা ২য় ধাপের প্রক্রিয়াধীন তাদের হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে ভার্চুয়াল প্রশ্নোত্তর সেশন হবে।
এরপরে চূড়ান্ত মনোনীত প্রার্থীদের চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হবে। ২৬ মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্তদের ব্যানার ছবি আকারে আমাদের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেইজসহ, সমস্ত সামাজিক মিডিয়া এবং আমাদের ইউএন এসডিজি অংশীদারি প্ল্যাটফর্মে ও অফিসিয়াল প্রেস রিলিজের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ।
আয়োজনের বিস্তারিত জানতে চাইলে বাংলাদেশ ডিজিটাল সোস্যাল ইনোভেশন ফোরামের সভাপতি মো. আলী আকবর আশা জানান, 'আমরা নির্বাচিতদের জন্য এবারের আয়োজনে কিছু বিশেষ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করব। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইউএন এসডিজি একাডেমির বৃত্তি, জাতিসংঘের অফিস ভ্রমণে এবং জার্মানিতে পার্টিশিয়াল অবদানে এসডিজি গ্লোবাল ফেস্টে কর্মসূচিতে যোগদান, কানাডায় একজন সমাজকর্মী হিসাবে কাজের সুযোগ, ফেলোশিপ, ইত্যাদি।
এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে আমরা বিশ্বের জনপ্রিয় ২টি ফাউন্ডেশনের সাথে চুক্তি সম্পন্ন করেছি। আমাদের যাবতীয় কার্যক্রমে আমাদের আইটি পার্টনার হিসাবে সহযোগিতা করেছে হাইওয়ে আইটি। মাইগ্রেশন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করবে ক্যানাডার হাইওয়ে মাইগ্রেন্ট সার্ভিসেস। বিশেষ সুবিধা প্রদানের জন্যই আমরা আমাদের নিয়মিত পুরস্কার বাছাইয়ের প্রক্রিয়াটি কিছুটা পরিবর্তন করেছি।
গত বছর মুজিব বর্ষে আমরা বঙ্গবন্ধুর নামে এই এওয়ার্ডটি আয়োজন করি।'
এবারের আয়োজন একইসঙ্গে বাংলাদেশ ও ক্যানাডাতে আয়োজন হবে। আয়োজনের তারিখ শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
এ আয়োজনে লজিষ্টিক সাপোর্ট দিতে বাংলাদেশ থেকে কাজ করছেন ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারী মো. শরীফ মাহমুদ এবং রেজিষ্ট্রেশন ও বিশেষ সুবিধা প্রদানে কাজ করছেন ফোরামের সহ-সহভাপতি মো. ইব্রাহীম হোসেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছর এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ডিজিটাল সোস্যাল ইনোভেশন ফোরামের কমিউনিকেশন অফিস ও বিশেষ কার্যক্রম কানাডার ওট্টা শহর থেকে পরিচালিত হচ্ছে।
এলএ/এমকেএইচ